পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
এখানকার বিদায়ী সাংসদ হলেও ভোটার নন বিজেপি প্রার্থী বিস্তা। তিনি ভিনরাজ্যের ভোটার। তাই অন্য প্রার্থীর মতো ভোট দেওয়া নিয়ে তাঁর ব্যস্ততা ছিল না। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি মাটিগাড়ার ভাড়াবাড়ি থেকে বের হন। তাঁর পরনে ছিল সবুজ পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। কপালে হলুদ টিপ। সাদা গাড়িতে করে তিনি গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন বুথ ঘোরেন। মাঝে কিছুক্ষণ তিনি গাড়ি ছেড়ে দেন।
স্কুটারে দলীয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে বসিয়ে শহরের একাংশ ঘোরেন। এতকিছুর পরও তিনি স্বস্তিতে ছিলেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন। বিজেপি প্রার্থী বলেন, কার্শিয়াংয়ে কিছু বুথে বিজেপির এজেন্টদের বসতে দেয়নি তৃণমূল। চোপড়ার একই অবস্থাও। সেখানে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বন্দুক হাতে ঘুরে বেড়ায়। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিন জওয়ানকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বন্দুক থাকা সত্ত্বেও জওয়ানরা তা ব্যবহার করছেন না কেন, বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব। পাশাপাশি পঞ্চাশটির মতো বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি কমিশনের কাছে জানাব। অন্যদিকে, রাজনীতির ময়দানে নতুন মুখ তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা। তিনি প্রাক্তন আমলা। ভূমিপুত্র। শিলিগুড়ির প্রধাননগরে তাঁর বাড়ি। সকালে নিজের বাড়ির কাছে বৌদ্ধমন্দিরে প্রার্থনা করেন। সকাল ৭টা নাগাদ তিনি প্রধাননগরের মার্গারেট হাইস্কুলে গিয়ে নিজের ভোট দেন। তাঁর পরনে ছিল আকাশি টি-শার্ট ও ধূসর রঙের প্যান্ট। চোখে চশমা। ভোট দেওয়ার পর তিনি মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া হয়ে সুকনায় যান। কোথাও তিনি বুথে ঢুকে ভোটের হালচাল সম্পর্কে খোঁজ নেন। আবার কোথাও গিয়ে দলীয় নির্বাচনী বুথে বসে কিছুক্ষণ সময় কাটান। কর্মীদের পাশাপাশি হাসিমুখে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। দুপুর ৩টে মধ্যে গ্রামীণ এলাকা ঘুরে তিনি শিলিগুড়ি শহরে ঢোকেন। ক্লান্তি ভুলে হাসিমুখে বুথে বুথে গিয়ে হাওয়া মাপেন।
তৃণমূল প্রার্থী বলেন, কে কী বলছেন জানা নেই। ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। দিনভর ভোটের ময়দানে ঘুরে সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। যার মধ্যে মহিলাদের উৎসাহ ছিল বেশি। নেপথ্যে মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কাজ করেছে। পাহাড়ের দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে একই রিপোর্ট পেয়েছি। তাই আমি চাপমুক্ত। এখানে জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। এদিকে, তৃণমূল অবশ্য বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ মানতে নারাজ। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, নির্বাচনে হার বুঝতে পেরেই মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিজেপি প্রার্থী।