পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ
এমনটা যে হতে পারে, সেই সম্ভাবনা ছিলই। এদিন ইউক্রেনকে দেওয়া সমস্ত অনুদান বন্ধের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তৎক্ষণাৎ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার বলেন, ‘ইউরোপ নিজেদের তহবিল গড়ছে। আমরা সব রকমভাবে সহায়তা করব ইউক্রেনকে।’ দু’দিন আগেই ওভাল অফিসে ডেকে এনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তুলোধোনা করে কার্যত তাড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। সরাসরি রাশিয়ার প্রতিই তিনি সমর্থন স্পষ্ট করেছেন। তারপর এই প্রথম মুখ খুলল ক্রেমলিন। বিশেষ বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আমেরিকা অবশেষে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিতেই এসেছে।’
আমেরিকায় দ্বিতীয়বার ক্ষমতাসীন হয়েই একের পর এক সিদ্ধান্তে বিশ্ব কূটনীতি এবং জিওপলিটিক্যাল ভারসাম্যকে সম্পূর্ণ নাড়িয়ে দিচ্ছেন ট্রাম্প। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি নিয়ে উগ্র জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলেছেন। ভারত, চীন, কানাডা, মেক্সিকো সহ ইউরোপের উপর চড়া হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা করেছেন। কানাডা ও মেক্সিকোর উপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক বলবৎ করেছেন তিনি। চীনের পণ্যে ওই ২৫ শতাংশের পাশাপাশি ধার্য হয়েছে আরও ২০ শতাংশ অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক।
এরপরই এদিন প্রত্যাঘাত করেছে বেজিং। আগামী ১০ মার্চ থেকে আমেরিকার পণ্য চীনে প্রবেশ করলে অতিরিক্ত ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। কানাডা ঘোষণা করেছে, ট্রাম্প যদি শুল্ক প্রত্যাহার না করেন, তাহলে পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে মার্কিন পণ্যে। বস্তুত চীনই এবার আমেরিকা বিরোধী বাণিজ্য যুদ্ধের নেতৃত্বে। নিজেদের স্বার্থেই এই সংঘাতে যোগ দিতে চলেছে ইউরোপ। ফলে বিশ্বের অর্থনীতি অনিশ্চিত হতে চলেছে।
কিন্তু ট্রাম্প এভাবে এতকালের বন্ধুদের শত্রুতে পরিণত করছেন কেন? এই প্রশ্ন দুনিয়া জুড়ে তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে আরও কী কী অপেক্ষা করছে? এমনকী ট্রাম্পের দল এবং সমর্থক মহল বলতে শুরু করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, ন্যাটো, আইএমএফ, এসব থেকে আমেরিকা বেরিয়ে আসুক। আমেরিকার টাকায় এসব সংস্থা মাতব্বরি করে! তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে কি না অনিশ্চিত, কিন্তু বিশ্ব বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। মিত্রশক্তি কে? অক্ষশক্তি কে? অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।