পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
শুধুমাত্র জল নয়। উচ্চগতির ট্রেন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় তরল পদার্থও থাকবে ট্রেনে। সেগুলি তরল অবস্থায় না থাকলে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনাও। তাই জলের পাশাপাশি অন্যান্য তরলও যাতে জমে না যায়, সেটিও নিশ্চিত করতে হচ্ছে রেলকে। অত্যন্ত ঠান্ডায় ট্রেনের যাত্রীরা যাতে কোনওমতেই শীত অনুভব না করেন, তাও সুনিশ্চিত করতে হচ্ছে রেলকে। সেইমতো চলছে একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষা। কারণ বন্দে ভারত ‘স্লিপারে’র মতো সেমি-হাইস্পিড ট্রেনে সবসময় ‘ব্লোয়ার’ বা ‘হিটার’ চালিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে অতি-তাপমাত্রাতেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রেল সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে বাইরে যতই ঠান্ডা থাকুক না কেন, বন্দে ভারত ‘স্লিপারে’র যাত্রীরা তা অনুভব করতে পারবেন না। কোচের ভিতরে তাপমাত্রা হবে বডি-টেম্পারেচারের সমতুল। একইসঙ্গে রেলযাত্রীরা যাতে অক্সিজেনের অভাব বোধ না করেন, তাও মাথায় রাখা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ট্রেনে পাইলটস কেবিনের ‘উইন্ডশিল্ড’ অক্ষত রাখার ব্যবস্থা করা। একটানা তুষারপাতে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যে নেমে আসে। শুধু তাই নয়, তুষারপাতের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উইন্ডশিল্ডও। এক্ষেত্রে তা হলে বড় বিপদের আশঙ্কা থাকে। আপাতত এই চ্যালেঞ্জের স্থায়ী মোকাবিলার পথই হাতড়াচ্ছে রেল। মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ট্রেনের ওয়াটার-ট্যাঙ্ক এবং সংলগ্ন পাইপলাইনে জল জমে যাওয়া আটকাতে ‘সিলিকন হিটিং প্যাড’ ও ‘হিটেড প্লাম্বিং পাইপলাইনসে’র ব্যবহার করা হচ্ছে। উইনন্ডশিল্ডে থাকবে বিশেষ ধরনের ‘হিটিং এলিমেন্ট’, যা তুষারপাত জমতে দেবে না। ট্রেনের এয়ার ব্রেক যাতে প্রবল ঠান্ডাতেও ‘ফ্রিজিং’ পরিস্থিতিতে না যায়, সেই কারণে ‘এয়ার ড্রায়ার’ ব্যবস্থা চালু করা হবে। পাশাপাশি ট্রেনে ‘স্নো রিমুভার’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখছে রেলমন্ত্রক। এর ফলে কাশ্মীরে তুষারপাত হলেও রেল লাইন অচল হয়ে যাবে না। যদিও দিল্লি-শ্রীনগর রুটে বন্দে ভারত ‘স্লিপার’ ট্রেন কবে থেকে চালানো হবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এখনও ট্রায়াল রান চলছে। কাশ্মীরে তুষারপাতও হচ্ছে। ট্রেনের উদ্বোধনী যাত্রার পক্ষে এই সময়টা কতটা অনুকূল, তাও খতিয়ে দেখছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। উদ্বোধনী যাত্রা অবশ্য কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত করা হতে পারে।