পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
বিগত বাজেটে ১১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার খাতে। রাস্তা থেকে রেল, বন্দর অথবা সেতু— পরিকাঠামো বাড়ানোই লক্ষ্য মোদি সরকারের। কিন্তু বিগত বছরের শেষে এসে দেখা যায় মাত্র ৪২ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। বাকি অর্থ ফেলে রাখা হয়েছে রাজকোষে। এবার জানা যাচ্ছে, পরিকাঠামোর প্রধান দুই সেক্টর, সড়ক ও রেল সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ বেসরকারি হাতেই বেশি পরিমাণে দিতে চাইছে সরকার। বিশেষত হাইওয়ে নির্মাণের কাজে কেন্দ্র নিজে বেশি জড়াবে না। সবটাই বেসরকারি হাতে দেওয়া হবে ‘বিল্ড, অপারেট অ্যান্ড ট্রন্সফার’ (বিওটি) মডেলে। আবার এই ফর্মুলায় ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল’ নেওয়া হবে রেলে। মন্ত্রককে বলা হয়েছে নতুন ট্রেন নির্মাণের বড় অংশ দেওয়া হোক এই মডেলে। বিশেষত বন্দে ভারত ট্রেনের সিংহভাগ কোচ তৈরি করা হবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে। আসন্ন বাজেটে পরিকাঠামো নির্মাণ খাতে রেল ও সড়ক উন্নয়নের অন্তত ২৫ শতাংশই দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে।
সরকার বিপুল অর্থ ও প্রকল্প বরাদ্দ করে ফেললেও অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য করে সতর্কতা নিচ্ছে। অর্থাৎ রাজকোষে যথাসম্ভব কম চাপ দিতে চাইছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, রেলকে বহু বছর ধরে পিপিপি মডেলে জোর দিতে বলা হলেও কাজের কাজ হয়নি। তুলনায় কিছুটা হলেও সফল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়া। ফলে আরও বেশি করে বিওটি মডেল নিতে চলেছে কেন্দ্র। যার অর্থ হল, ওইসব বেসরকারি সংস্থার হাতে ক্ষমতা থাকবে হাইওয়ে থেকে টোল সংগ্রহের। এবং টোল বৃদ্ধিরও। সুতরাং সরকার নিজেদের দায়িত্ব কমিয়ে বেসরকারি হাতে পরিকাঠামো নির্মাণ ছেড়ে দেওয়ার প্ল্যান করলেও আদতে ঘুরপথে আর্থিক বোঝা চাপবে আমজনতার উপর। হাইওয়ে অথরিটি যদি পারে তাহলে রেল কেন পারবে না? এই প্রশ্ন তুলে এবার রেলের বিভিন্ন বকেয়া ও ভবিষ্যৎ প্রকল্পকেও বেসরকারি হাতে দেওয়ার নীতি নেওয়া হচ্ছে।