কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
কিছুদিন আগে যোগীরাজ্যে ৯টি বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন হয়েছিল। ওই সময়ই মিল্কিপুরেও ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই অযোধ্যা এলাকার এই আসনের উপ নির্বাচন স্থগিত রেখেছিল কমিশন। অখিলেশ যাদবের দল দাবি করেছিল, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত। ৯ আসনের উপ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সপা তথা বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিস-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কার্যত ভোটের নামে প্রহসন করেছিল বিজেপি। ওই দফায় ৯টির মধ্যে সাতটিতেই জিতেছিল গেরুয়া শিবির। এবার মিল্কিপুরও সপার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ফৈজাবাদে হারের ধাক্কা সামাল দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল।
ফৈজাবাদে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর অখিলেশ বিজেপি, গেরুয়া দলের হিন্দুত্বের রাজনীতিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তারপর থেকে সংসদে বরাবর অখিলেশের পাশে দেখা গিয়েছে অবধেশকে। সপার এই আক্রমণের ধার ভোঁতা করতে মিল্কিপুরের ভোট বিজেপির কাছে কার্যত প্রেস্টিজ ফাইট। এই আসনের জাতিগত সমীকরণও বিজেপি ও সপা-উভয় শিবিরের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সাড়ে তিন লক্ষ ভোটারের মধ্যে দলিতই ১.২ লক্ষ। যাদব ৫৫ হাজার, মুসলিম ৩০ হাজার। এছাড়া ৬০ হাজার ব্রাহ্মণ, ২৫ হাজার ক্ষত্রিয় ভোটারও জয়-পরাজয় নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলিতদের সঙ্গে ব্রাহ্মণ, ওবিসি ও ক্ষত্রিয় ভোট টানতে পারলেই এখানে কিস্তিমাত করা সম্ভব বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আসন্ন উপ নির্বাচনে অখিলেশের পিডিএ ফর্মুলা তাঁকে ডিভিডেন্ড দেবে, নাকি হিন্দুত্বের রাজনীতিতে বিজেপি জাতিগত সমীকরণ বদলে দিতে পারবে, তার উত্তর জানা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি।