কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ
আইন অনুযায়ী অবশ্য দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতেই পারেন। তাই বিচারাধীন অবস্থায় স্বপদে থেকেছেন কেজরিওয়াল। তবে কি তিনি কুর্সি লোভী? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিনের ঘোষণায় তার জবাব দিয়ে দিয়েছেন আপ সুপ্রিমো। যদিও আপাতত বিধানসভা ভঙ্গ করা হচ্ছে না। ফলে কে হবেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে কৌতূহল চরমে। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, কেজরিওয়ালের আস্থাভাজন মন্ত্রী আতিশী বসতে পারেন সেই পদে। আবার অনেকের মতে পাল্লা ভারী কেজরিওয়াল-পত্নী সুনীতার। কেউ কেউ আবার সৌরভ ভরদ্বাজকেও দৌড়ে রাখছেন।
জেলে বন্দি থেকেও কেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েননি? এদিন ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেজরিওয়াল। একইসঙ্গে সওয়াল করেছেন মোদি বিরোধী জোট মজবুত রাখা নিয়ে। তিনি বলেন, বিজেপির ছকই হল বিরোধী শাসনে চলা রাজ্যগুলিকে বিপাকে ফেলা। তাই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মমতাদিকেও ওরা বিপদে ফেলতে চায়। তাই আমি বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের বলছি, জেলে যেতে হলেও সঙ্গে সঙ্গে পদ ছাড়বেন না। বিজেপির চালই হল কোনও না কোনও মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে পাঠিয়ে প্রথমে বিরোধী দলকে ভাঙা। তারপর নিজেদের সরকার গড়া। ঠিক যেমন মহারাষ্ট্রে দুই দলকে ভেঙে ঘুরপথে সরকারে এসেছে বিজেপি। তবে মোদির প্ল্যান ফেল করিয়ে দিয়েছে আম আদমি পার্টি।’
আগামী ৫ অক্টোবর হরিয়ানায় ভোট। কেজরিওয়াল সেখানে প্রচার করবেন। ফলে সামান্য হলেও চাপ বাড়ল কংগ্রেসের। এতদিন তাদের সরাসরি লড়াই ছিল বিজেপির সঙ্গে। কংগ্রেসের ভোট কাটবে না তো আপ? চিন্তায় কংগ্রেস। তাই রাহুল গান্ধী , প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে তো বটেই, সোনিয়া গান্ধীকে পর্যন্ত প্রচারে নামানো হচ্ছে। তালিকায় রয়েছে দলের একাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের নামও।