গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
বিদ জেলার ছয়টি বিধানসভা আসন নিয়ে বিদ লোকসভা আসন। এবার এই আসনে বিজেপি প্রার্থী পঙ্কজা মুন্ডে। গত বিধানসভা ভোটে পারলি আসনে তুতো ভাই ধনঞ্জয়ের কাছে হেরেছিলেন পঙ্কজা। এবার ধনঞ্জয় রয়েছেন অজিত গোষ্ঠীতে। ফলে তাঁর সমর্থনও পাচ্ছেন পঙ্কজা। এর সঙ্গে রয়েছে ‘গোপীনাথ-আবেগ’। পঙ্কজা নিজে ওবিসি-ভূক্ত বানজারি সম্প্রদায়ের। তাই তাঁকে প্রার্থী করে এই আসনের প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ ওবিসি ভোটকে টার্গেট করেছে বিজেপি।
পিছিয়ে নেই বিরোধীরাও। ইন্ডিয়া জোটের হয়ে বিদে প্রার্থী হয়েছেন এনসিপি (শারদ পাওয়ার) বজরং সোনাওয়ানে। তিনি আবার মারাঠা সম্প্রদায়ের। বিদ আসনের ছয় লক্ষ মারাঠা ভোটার সোনাওয়ানেকে ভোট দেবেন বলে আশা করছে বিরোধী জোট। সোজা কথায় বিদে এবার সরাসরি মেরুকরণ। একদিকে সংখ্যায় বেশি থাকা কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা মারাঠা। অন্যদকে সর্বত্র এগিয়ে থাকা বানজারি। ফলে লড়াইটা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে পঙ্কজার। সেক্ষেত্রে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে পারে সাড়ে তিন লক্ষ মুসলিম ভোট। পঙ্কজার নিজস্ব সংগঠন এতদিন এই ভোট নিজের দিকে টেনে এনেছে। কিন্তু এবার যেভাবে মেরুকরণ হয়েছে, তাতে মুসলিম ভোটও এনসিপি (শারদ) প্রার্থীর দিকে যেতে পারে।
কোনও শিবিরে না থেকেও ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে। তিনি প্রকাশ্যে কাউকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাননি। কিন্তু প্রকাশ্যেই বিজেপি জোটের বিরোধিতা করছেন। মারাঠাদের শক্তি দেখিয়ে দেওয়ার জন্য সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যেতে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। যা চাপ বাড়িয়েছে পদ্ম শিবিরের। এছাড়া কয়েকটি জায়গায় মুন্ডে পরিবারের বিরুদ্ধেও ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা’ বাড়ছে। প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে পঙ্কজাকে। যদিও পঙ্কজার দাবি, মানুষ ধর্ম নয়, উন্নয়ন দেখেই ভোট দেবে।