বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এখনও ঝালোরে জলের সমস্যা প্রবল। জলের অভাবে গ্রীষ্মকালে এলাকা ছেড়ে অনেকেই চলে যান রাজস্থানের অন্য জেলায়। জয়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে আরাবল্লী পর্বত ঘেরা পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চল মূলত আদিবাসী বহুল। ধূ ধূ মাঠ। পাথুরে। তাই অনেকেই একে গ্রানাইট সিটিও বলেন। গুজরাতের বানসকাঁটা জেলা আর ঝালোরের সিরোহী পাশাপাশি। গুজরাত থেকে দূরত্ব দেড়শো কিলোমিটার। তবুও এখানে পৌঁছয়নি মোদির উন্নয়ন। নেই কর্মসংস্থান। জাতীয় সড়কের যোগও কম।
আর এই বঞ্চনাকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী ময়দানে অশোক গেহলটের পুত্র কংগ্রেসের বৈভব চালিয়ে যাচ্ছেন লাগাতার প্রচার। বুধবার রাম নবমীর দিন মেরেছেন বাণ। লক্ষ্য মোদি। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বুলি ফাঁপা দাবি করে প্রচারের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন। প্রকাশ করেছেন ‘তরক্কি এক্সপ্রেস’ নামে ইস্তাহার। পাঁচ ন্যায়ের ২৫ গ্যারান্টি সামনে রেখে কংগ্রেস সার্বিকভাবে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করলেও বৈভব এদিন রানিওয়াড়ায় প্রকাশ করলেন ‘বচন পত্র।’ তাঁকে জেতালে উন্নয়নের রেলগাড়ি ছোটাবেন তিনি। তাই ট্রেনের ছবি দেওয়া উন্নয়ন এক্সপ্রেস নামে প্রতিশ্রুতি পত্র প্রকাশ হল।
যা দেখে উৎসাহিত গ্রামবাসীরাও। বৈভব বললেন, আমাকে সাংসদ করলে সাঁচৌর, ঝালোর, সিরোহী এলাকায় উন্নয়নে জোর দেব। নরেন্দ্র মোদি তো ডাবল ইঞ্জিনের প্রচার করেন। তাহলে ঝালোরে উন্নয়ন হয়নি কেন? এটি কি দেশের অংশ নয়? তাই ঝালোরে মোদিজিকে দিন জোর কা ঝটকা। বৈভবের প্রতিশ্রুতি, ভোটে জিতলে মহিলাদের রোজগারের জন্য ব্যবস্থা করব প্রশিক্ষণের। হবে ১০০ স্টার্ট আপ। ১০ হাজার বেকারের চাকরি। মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। ঝালোর থেকে জয়পুর, দিল্লি, হায়দরাবাদ আর চেন্নাই পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন। ভোট দেবেন তো? জবাবে রানিওয়ারা, সাঁতরু, করওয়াড়া, করড়া, মেরা, সিলাসন গ্রামের মানুষও হাত তুলে জানালেন সমর্থন।