উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
রবিবার রাতে চেন্নাইয়ে নিজের বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন টি এন সেশন। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে রাহুল লিখেছেন, ‘একটা সময় ছিল যখন নির্বাচন কমিশন মানেই ছিল নিরপেক্ষ, সাহসী, সম্মানিত এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাস। টি এন সেশন তাঁদেরই মধ্যে একজন। এখনকার মতো অবস্থা তখন ছিল না। সেশনের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই।’ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে মোদি সরকার নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে। বারবার এই অভিযোগে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। এদিন সেশনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ আর একবার তুললেন তিনি। রাহুলের পাশাপাশি সেশনের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেছেন, ‘ ভারতের নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সেশনের ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। একাধিক নির্বাচনী সংস্কারের পথিকৃৎ ছিলেন তিনি।’ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজওয়ালা বলেছেন, ‘দেশের গণতন্ত্র চিরদিন সেশনের জন্য গর্ববোধ করবে। আশা করব, সেশনের তৈরি নীতি বর্তমান যুগেও প্রতিফলিত হবে। আরও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস দেখাবে নির্বাচন কমিশন।’ পাশাপাশি, শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, শশী থারুর, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং মিলিন্দ দেওরা। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ আমার বাবা রাজীব গান্ধীর সঙ্গে হাসিঠাট্টার সম্পর্ক ছিল সেশনের। তাঁর মতো দৃঢ়চেতা এবং ভয়ডরহীন মানুষ খুব কমই দেখা যায়।’
১৯৩২ সালের ডিসেম্বর মাসে কেরলের পালাক্কড় জেলার তিরুনেল্লাইয়ে জন্ম হয় তিরুনেল্লাই নারায়ণ আইয়ার সেশনের। পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ১৯৫৫ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। পরে প্রশাসন সম্পর্কে পড়াশোনা করতে যান মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে। দৃঢ় প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য পেয়েছিলেন র্যা মন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাঁর কার্যকাল স্মরণীয় হয়ে আছে। আদর্শ আচরণ বিধি, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র চালু, ভোটে টাকা ছড়ানো বন্ধের মতো একাধিক পদক্ষেপ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা এনেছিলেন। তবে, কাজটি সহজ ছিল না। এই সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ‘সেশন বনাম নেশন’ স্লোগান পর্যন্ত চালু হয় তাঁকে নিয়ে।