প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততা বৃদ্ধি। গৃহে কোনও শুভানুষ্ঠান উপলক্ষে অতিথি সমাগমে আনন্দ। দেহে আঘাত ... বিশদ
ধুলিয়ান মডিউলের একদা মাথা ছিল আব্দুল করিম ওরফে বড় করিম। ২০২০ সালে খাগড়াগড় কাণ্ডের এই অন্যতম চক্রীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। তারপরই গোয়েন্দাদের নজরে আসে সুতি, জলঙ্গী, ধুলিয়ান সহ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে জঙ্গি নেটওয়ার্ক। এমনকী, সেখানে এসে থেকে গিয়েছে জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) আমির সালাউদ্দিন সালেহান স্বয়ং। একের পর এক অভিযানে কোমর ভেঙে যায় তাদের স্লিপার সেলের।
সেই মডিউল নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে বলেই দাবি ধুবুরি থেকে ধৃত শাহিনুরের। অসম পুলিসের এসটিএফ তাকে জেরা করে জানতে পেরেছে, বাংলাদেশে পালাবদলের পরই মুর্শিদাবাদকে টার্গেট করেছে এবিটি প্রধান জসিমউদ্দিন। সেজন্য বেছে নেওয়া হয়েছে একদা ‘জেএমবি’র ঘাঁটি বলে পরিচিত সুতি, ধুলিয়ান, জলঙ্গীকে। কারণ, ওই তিনটি এলাকায় জেএমবির স্লিপার সেলের অনেক পুরনো সদস্য রয়েছে। রহমানির আর এক ‘ডান হাত’ মহম্মদ ফারহান ইশরাত একাধিকবার ঘুরে গিয়েছে এই জেলায়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, বসে যাওয়া সেই সদস্যদের বেশিরভাগই চলে গিয়েছিল দক্ষিণ ভারতে রাজমিস্ত্রির কাজে বা জনমজুর খাটতে। তাদের খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনে শাদ। শুরু হয় নতুন স্লিপার সেল খোলার কাজ। নতুন সদস্যদের ‘মোটিভেট’ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শাহিনুরকে। এই কাজের জন্য দু’মাস ধরে মুর্শিদাবাদে ঘাঁটি গেঁড়েছিল।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে থাকা এবিটির এই স্লিপার সেলগুলিকে চিহ্নিত করে ফেলেছেন অসম পুলিসের এসটিএফের অফিসাররা। এই সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে রাজ্য পুলিসকে। তার ভিত্তিতে শুরু হয়েছে যৌথ অপারেশন। স্লিপার সেল মেম্বারদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।