প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততা বৃদ্ধি। গৃহে কোনও শুভানুষ্ঠান উপলক্ষে অতিথি সমাগমে আনন্দ। দেহে আঘাত ... বিশদ
বনগাঁর খয়রামারির বাসিন্দা ব্যবসায়ী চিন্ময় মল্লিক কয়েক বছর আগে একটি ১৪ চাকার লরি কেনেন। ব্যবসা মন্দা চলায় গাড়ির কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না তিনি। তখন গাইঘাটার বাসিন্দা এক ব্যক্তির মারফত আগরপাড়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ ঘোষকে গাড়িটি ব্যবসার জন্য দেন। চুক্তি হয়, গাড়ির কিস্তি প্রসেনজিৎ-ই পরিশোধ করবেন। কিন্তু কয়েকমাস পর চিন্ময় জানতে পারেন, ব্যাঙ্কের ঋণ পরিশোধ করেননি তিনি। এরপর গাড়ি চেয়েও ফেরত পাননি তিনি। এরপর বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হন চিন্ময়।
ইতিমধ্যে একটি প্রতারণার ঘটনায় পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। বসিরহাট সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্তে জেলে গিয়ে পুলিস প্রসেনজিৎকে জেরা করে। পুলিস জানতে পারে, আসানসোলের বাসিন্দা অরবিন্দ মাহাত ও তাঁর ভাই সুরজ মাহাতর কাছে গাড়িটি রয়েছে। মালদহের বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছ থেকে গাড়িটি কিনেছেন তারা। গাড়ির কাগজপত্র খতিয়ে দেখে পুলিস জানতে পারে, গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন পাল্টে ফেলা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেট বসানো হয়েছে গাড়িতে। গাড়ির গতিবিধি সম্পর্কে একাধিক অজুহাতে পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এরপরই পুলিস অভিযুক্ত অরবিন্দকে গ্রেপ্তার করে।
সূত্রের দাবি, অভিযুক্তরা একটি বড় চক্রের সঙ্গে যুক্ত। প্রসেনজিৎ এই চক্রের অন্যতম মাথা। গাড়ি চুরি করে ভিনরাজ্যে পাচার করে গাড়ির নম্বর প্লেট, রং রাতারাতি বদলে ফেলে তারা। মনে করা হচ্ছে তাঁদের ডেরা থেকে মিলতে পারে একাধিক গাড়ি।