প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততা বৃদ্ধি। গৃহে কোনও শুভানুষ্ঠান উপলক্ষে অতিথি সমাগমে আনন্দ। দেহে আঘাত ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতেই বান্দোয়ানের ভাঁড়ারিয়া পাহাড়ের জঙ্গল ছেড়েছিল জিনাত। পাহাড় থেকে ২০কিলোমিটার হেঁটে আশ্রয় নেয় বোরো থানার ডাঙ্গরডির ডুংড়িতে। শুক্রবার রাতে তাকে ধরতে সবরকম প্রস্তুতি নেয় বনদপ্তর। জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছিল গোটা এলাকা। টোপ হিসেবে ছিল মোষ, ছাগল। জিনাত একবার টোপ হিসেবে দেওয়া মোষের কাছে গিয়েছিল। কিন্তু, তাকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করতে ব্যর্থ হয় বনদপ্তরের এক্সপার্টরা। ঘুমপাড়ানি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তাতেই জিনাত বুঝে যায়, এলাকাটি তারজন্য নিরাপদ নয়। তাই রাতেই বনদপ্তরের জাল ছিঁড়ে সেখান থেকে সে বেরিয়ে যায়। পুরুলিয়া ছেড়ে সোজা ঢুকে যায় বাঁকুড়ায়। ডাঙ্গরডি থেকে বেরিয়ে খড়িদুয়ারি, শুকাপাতা, ধানাড়া হয়ে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার গোঁসাইডিতে একটি ছোট জঙ্গলে প্রবেশ করে জিনাত। সেখানেও জিনাতকে ধরার প্রস্তুতি শুরু করে দেন বনদপ্তরের কর্তারা।
গোঁসাইডির জঙ্গলটা তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট। গ্রামের দু’দিকই মুকুটমণিপুর ড্যাম বেষ্টিত। তাই জিনাতকে ধরার ব্যাপারে মরিয়া চেষ্টা চালায় বনদপ্তর। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা জঙ্গল এলাকা। লোকালয় পাশেই হওয়ায় এলাকার লোকজনকে বাড়ি ঘর থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জঙ্গলের ভিতরে খাঁচায় দেওয়া হয় ‘টোপ’। সন্ধ্যা নামতেই জালের চারদিকে আগুন জ্বালিয়ে হল্লা করে জিনাতকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। জেসিবি মেশিন দিয়ে ঝোপের ভিতর তৈরি করা হয় রাস্তা। রাস্তা ধরে ঘুরতে থাকে বনদপ্তরের গাড়ি। তার লোকেশন জানার জন্য আকাশে ওড়ানো হয় ড্রোন। ফাটানো হয় পটকা। দেখতে পেলেই জিনাতকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করার জন্য জেসিবি মেশিনের বাকেটের উপর ওঠেন এক্সপার্ট শ্যুটাররা। সন্ধ্যার আগে একবার গুলিও ছোড়া হয়। কিন্তু, এবারও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
পরপর দু’বার লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় জিনাতকে ধরতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন বনদপ্তরের কর্তারা। নিয়ে আসা হয় জেনারেটর। জ্বালানো হয় আলো। বাঘকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করতে আরও ট্র্যাঙ্কুলাইজ টিম মাঠে নামানো হয়। জিনাতের বিচরণক্ষেত্র ছোট করার চেষ্টা চলে। জিনাত বাঁকুড়ায় প্রবেশ করলেও পুরুলিয়া, কংসাবতী দক্ষিণ ও কংসবতী উত্তর বনবিভাগের কর্তারাই অপারেশনে মুখ্য ভূমিকা নেন। শনিবার সন্ধ্যায় কংসবতী দক্ষিণের ডিএফও পূরবী মাহাত বলেন, বাঘকে ধরার সবরকম চেষ্টাই আমরা করছি।