কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ
এই মুহূর্তে বিভিন্ন ডিপো থেকে দীঘায় দৈনিক ৪০-৪৫টি সরকারি বাস চলাচল করে। পুজোর সময় এই সংখ্যাটা ৫৫থেকে ৬০টি করা হবে। দীঘা লাইনে অধিকাংশ দিন ট্রেন সময়মতো চলছে না। এক্সপ্রেস থেকে লোকাল সবেতেই এই সমস্যায় ভুক্তভোগী পর্যটকরা। তাছাড়া, পুজোর মরশুমে দূরপাল্লার ট্রেনের কনফার্ম টিকিটও মিলছে না। যে কারণে তাঁরা সড়ক পথে যাতায়াতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। পুজোর মরশুমে ছুটিতে প্রতিবছর দীঘায় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। এবছরও ভিড়ের আগাম আভাস মিলছে। উৎসব মরশুমে দীঘায় পর্যটকদের পরিবহণের যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য অন্য ডিপো থেকে বাস তুলে দীঘা-কলকাতা রুটে চালাবে এসবিএসটিসি। পুজোর মরশুমে প্রতিবছর বাড়তি রোজগার করে এসবিএসটিসি। এবারও তার অন্যথা হবে না।
পুজোর সময় নাগালের মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর সেরা গন্তব্যস্থল দীঘা। গত কয়েকবছর পুজোর ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ বেড়ানোর জন্য দীঘাকে বেছে নিচ্ছেন। এবারও পুজোর মরশুমে অতিরিক্ত ভিড়ের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন ও পুলিসের পক্ষ থেকে নানাবিধ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের সুরক্ষার উপর। সি-বিচ বরাবর নজরদারি বেড়েছে। রাতে উইনার্স টিম টহল দিচ্ছে। পুলিস কর্তারাও রাতে ওই পর্যটন কেন্দ্রে ভিজিটে যাচ্ছেন।
দঙ্গিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার দীঘার ডিপো ইন-চার্জ সোমনাথ ঘোষ বলেন, পুজোর সময় দীঘায় পর্যটকদের ঢল নামে। অতিরিক্ত কয়েক হাজার পর্যটক সমাগম হয়। তাঁদের যাতায়াতের সুবিধার বাড়তি বাস চালানো হবে। মহালয়ার সময় থেকেই এটা শুরু হচ্ছে। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত এই সার্ভিস চালু থাকবে। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, পুজোর মরশুমে বুকিংয়ের জন্য ভালো সাড়া মিলছে। হোটেলের ঘর পাওয়া যাবে কি না প্রায়ই ফোন আসছে। আগামী ২৫সেপ্টেম্বর থেকেই পুজোর বুকিং পুরোদমে শুরু হবে। এবারের পুজোয় লক্ষ্মীলাভ নিয়ে আমরা সকলে আশাবাদী। নিউদীঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অশোক চন্দ বলেন, প্রতি বছর পুজোর সময় দীঘায় পর্যটকদের ঢল নামে। এবারও পুজোর মরশুমে বুকিংয়ে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ২৫সেপ্টেম্বর থেকে এটা আরও বাড়বে।