শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
যুগ্মসচিবের চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একজন করে নোডাল অফিসার ও একজন করে তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শী কর্মীর নাম নাম পাঠাতে হবে। ১৬ জুলাই জুম অ্যাপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ই-অফিস বিষয়ক যাবতীয় প্রশিক্ষণ তাঁদের দেওয়া হবে। হুগলির চন্দননগর কর্পোরেশনের কমিশনার স্বপনকুমার কুণ্ডু বলেন, পুরদপ্তর ই-অফিস চালু করতে চাইছে। সেখান থেকে কিছু নির্দেশিকা এসেছে। আমরা সেইমতো পদক্ষেপ করছি।
পুরদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে দপ্তরের সমস্ত অফিস, দপ্তরের অধীনে থাকা উন্নয়ন পর্ষদ ও কর্পোরেশনগুলিতে আপাতত এই ই-অফিস চালু হবে। পুরসভাগুলিকেও এর আওতায় আনা হতে পারে। তবে এবিষয়ে এখনও সরকারি নির্দেশিকা আসেনি। গত জুন মাস থেকেই এনিয়ে পুরদপ্তর প্রক্রিয়া শুরু করে। গত ১ জুলাই রাজ্যের সমস্ত উন্নয়ন পর্ষদকে ই-অফিসের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। হিডকো, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, তারকেশ্বর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি সহ ১৯টি ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে ওই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। এবার রাজ্যের ছ’টি কর্পোরেশানকে ই-অফিসের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়ে পুরদপ্তর। চন্দননগর, বিধাননগর, আসানসোল, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, হাওড়া কর্পোরেশানকে ওই ই-অফিস তৈরির জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুরদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণ পর্বের শেষে ইতিমধ্যেই তিনটি উন্নয়ন পর্ষদ, কেএমডিএ, নিউটাউন রাজারহাট ও হলদিয়া ই-অফিস মারফত ফাইল আদানপ্রদানের কাজ শুরু করে দিয়েছে। কলকাতা কর্পোরেশনেও প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। রাজ্য সরকারের তরফে আগেই ই-গর্ভন্যান্স, পেপারলেস কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এবার ডিজিটাল মাধ্যমেই অফিস পরিচালনার উদ্যোগ নিয়ে কাজও শেষ করে ফেলেছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দপ্তর। ডিজিটাল ওই অফিস চালু হয়ে গেলে কর্মীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংযোগ থাকবে না। যা করোনা পরিস্থিতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে, যাবতীয় কাজ ই-অফিস মারফত হওয়ায় যাবতীয় বিষয়ে নজরদারি জোরাল হবে। ফলে সরকারি উন্নয়নমূলক কাজে আরও স্বচ্ছতা আসবে।