পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মেটিলা এবং বাগদার রণঘাট গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে কোদালিয়া নদী। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিজিবির ৫৮ ব্যাটেলিয়নের কর্নেল আজিজুস সেদেশের এক সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেন, মাটিলা সীমান্তে কোদালিয়া নদীর ৫ কিলোমিটার তাঁরা দখল করেছেন। বিএসএফের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিজিবি এই তথ্য পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং অসত্য। যদিও সীমান্তে নজরদারিতে ফাঁক রাখতে চাইছে না বিএসএফ। এক আধিকারিকের দাবি, বিজিবি যদি ভারতীয় ভূখণ্ডের এক ইঞ্চি জমি নেওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ তার যোগ্য জবাব দেবে।
বাগদার রণঘাট সীমান্তে বেশ কিছুটা এলাকা কাঁটাতারের বেড়া নেই। সীমান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে কোদালিয়া নদী। নদীর মাঝ বরাবর দু’দেশের সীমান্তরেখা। নদীতে সেভাবে জল না থাকায় রাতের অন্ধকারে মাঝেমধ্যে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা নদী পেরিয়ে এদেশে চলে আসে। নদীতে স্নান করতে গেলে বাংলাদেশি দুষ্কৃতী ও সেদেশের সেনা নানাভাবে হেনস্তা করে ভারতীয় মহিলাদের। রণঘাটের বাসিন্দা এক মহিলা বলেন, নদীতে স্নান করতে গেলে ওপারে বাংলাদেশিরা নান কটূক্তি করে। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। বিএসএফের দাবি, অনেক সময় গ্রামবাসীদের সুরক্ষার কথা ভেবে তাঁদের নদীতে স্নান করতে নিষেধ করা হয়। তবে তাঁরা যাতে সুরক্ষিত থাকে, তারজন্য আমাদের জওয়ানরা সদা জাগ্রত।
নদী দখল নিয়ে বিজিবির দাবিকে কটাক্ষ করেছে স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, বিজিবি বাড়াবাড়ি করলে যোগ্য জবাব দেবে আমাদের জওয়ানরা। এবিষয়ে রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আফসনা মণ্ডল বলেন, আমরা ছোট থেকেই দেখে এসেছি কোদালিয়া নদীর এপারে বিএসএফ ওপাশে বিজিবি পাহারা দেয়। বিজিবির পক্ষ থেকে ভিত্তিহীন দাবি করা হচ্ছে।