পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
বাঘটি এর আগে এক বনকর্মীকে আক্রমণে উদ্যত হয়ে লাফ দিয়েছিল। তিনি কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন। তারপর প্রায় তড়িৎ গতিতে ঘুরেছে লোকালয়ের পাশের জঙ্গলে। মঙ্গলবার সারাদিন হেতালের জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছিল। তখনই অন্য কৌশল নেয় বনবিভাগ। তাকে নিশ্চিন্তে থাকতে না দিতে দফায় দফায় ফাটানো হয় চকোলেট বোমা আর পটকা। লাগাতার বিস্ফোরণের আওয়াজে ভয় পেয়ে, বিরক্ত হয়ে পড়ে বাঘটি। কিন্তু রাত পর্যন্ত জায়গা ছেড়ে নড়েনি। তবে রাতভর বোমা ফাটানোর ফলে আর স্বস্তিতে থাকতে পারেনি। পালিয়েছে।
এই কৌশলেই বাঘটিকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও নিশা গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘জঙ্গলে ফেরানো অন্যতম লক্ষ্য ছিল। তাই বোমা ফাটিয়ে অনবরত বিরক্ত করে যাওয়া হয়েছে। এক জায়গায় শান্তিতে থাকতে দেওয়া হয়নি। তাই রাতের অন্ধকারে মাকরি নদীতে যখন ভাটা তখন আজমলমারি ১১ নম্বর জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে। বাঘটি ওখান থেকেই এসেছিল।’ বন বিভাগের কুইক রেসপন্স টিমের সদস্য ওসমান মোল্লার বক্তব্য, ‘বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে নদীর দিকে যাই। সে পায়ের ছাপ আজমলমারি জঙ্গলের দিকেই যেতে দেখা গিয়েছে। তার ফিরে আসার আর কোনও প্রমাণ মেলেনি। তার থেকেই আমরা নিশ্চিত হই যে, বাঘ এ এলাকায় আর নেই।’
এখন গ্রামে স্বস্তি ফিরেছে। তবে প্রশ্ন, ফের এলাকায় চলে আসবে না তো? বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করে অন্যত্র ছেড়ে দিলে নিশ্চিত হওয়া যেত বলে মনে করছেন গ্রামের মানুষ। যদিও ডিএফও’র বক্তব্য, ‘বাঘ যদি সমস্যা তৈরি করত সেক্ষেত্রে তাকে ধরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হতো। কিন্তু এখানে জঙ্গলের মধ্যেই সে ছিল। তাই তাকে ফেরত পাঠানোই লক্ষ্য ছিল আমাদের। সেটাই করা হয়েছে।’ তবে গ্রামের আশপাশে নয়, জঙ্গলেই যাতে বাঘকে আটকে রাখা যায় তার জন্য ফেন্সিংয়ের উপর আরও জোর দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে মৎস্যজীবীদের একাংশ মাছ ধরতে গিয়ে জাল কেটে দেন বলে অভিযোগ। তা বন্ধ করতে লাগাতার প্রচার এবং সচেতনামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নিশাদেবী।