কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগের কাজ শেষ করতে চাইছে রাজ্য। দু’টি এক্সপ্রেসওয়ে মিশে গেলে গাড়ির সংখ্যা একলাফে অনেকটাই বাড়বে। তাই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দুই দিকের লেন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এয়ারপোর্ট থেকে দক্ষিণেশ্বরের দিকে আসার লেনে দ্রুত গতিতে ওই কাজ চলছে। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর থেকে এয়ারপোর্টের দিকে আসার লেনেই ছিল সমস্যা। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে যেখানে মিশবে, সেখান থেকে এয়ারপোর্টের দিকে যাওয়ার রাস্তার ধার বরাবর রয়েছে আম্বেদকর উদ্বাস্তু কলোনি। প্রায় ৬৬টি বাড়ি সেখানে রয়েছে। ওই বাড়িগুলি না সরালে সার্ভিস রোড তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। আর সার্ভিস রোড তৈরি না হলে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগের কাজ বাস্তবায়িত হবে না।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার উত্তর দমদম পুরসভার ১১ ও চার নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী খাস জমি খুঁজে বের করার কাজ করে। বরিশাল নগর লাগোয়া ওই জলা জমি ভরিয়ে উঁচু করা হয়। এরপর বিঘা তিনেক জায়গার উপর নতুন করে ৬৬টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। খরচ হয় প্রায় ছ’কোটি টাকা। একতলার প্রতিটি বাড়ি ৩৪৬ স্কোয়ার ফুটের। তাতে দু’টি বেডরুম, একটি বাথরুম, কিচেন ও ডাইনিং রয়েছে। এছাড়া পাশে খালি জায়গাও রয়েছে। সেখানে কোনও অনুষ্ঠান বা বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারবে। এছাড়া যাতায়াতের জন্য নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে। ১৩ তারিখ বাড়ির চাবি আম্বেদকর কলোনির বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বাসিন্দারাও নতুন ঠিকানায় যেতে উদগ্রীব। সঞ্জয় দাস পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাড়ি বাগদা। দীর্ঘদিন এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ঝুপড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন। সঞ্জয়বাবু ও তাঁর স্ত্রী সুধারানি দাস বলেন, ‘পূর্তদপ্তরের জায়গায় ঝুপড়ি বেঁধে দিনযাপন করতাম। সরকার চাইলেই ঘর ভেঙে দিতে পারত। তখন আমাদের ঘর ভাড়া নেওয়া ছাড়া উপায় থাকত না। কিন্তু সরকার নতুন ঘর তৈরি করে দিয়েছে। এখানে জীবন হাতে নিয়ে রাস্তার ধারে ধুলোবালি মেখে থাকতে হয়। নতুন জায়গায় এই সমস্যা থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায়, তাই বেঁচে গেলাম।’ উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস বলেন, ‘১৩ তারিখ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে আম্বেদকর কলোনির বাসিন্দাদের হাতে নতুন বাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হবে।’ - নিজস্ব চিত্র