কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ
আর জি কর ইস্যুতে গত প্রায় এক মাস ধরে কলকাতা আক্ষরিক অর্থেই উত্তাল। মিটিং-মিছিল লেগেই আছে। প্রতিবাদের নামে ‘পুজো বয়কট’, ‘উৎসব বয়কট’ ইত্যাদি নানা বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সুকৌশলে। হকাররা মনে করছেন, বাজারে এসবের একটা নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছে। তার উপর শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছিল। বছরের এই সময় ভালো ব্যবসার আশায় থাকেন প্রত্যেকে। রবিবারের বৃষ্টিবিঘ্নিত বিকেলে ভিড় দেখে দুশ্চিন্তা সরে গিয়ে হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে।
কথা হচ্ছিল হাতিবাগানের ব্যবসায়ী রঞ্জন রায়ের সঙ্গে। জামাকাপড়ের দোকান তাঁর। বললেন, ‘এবার প্রচুর স্টক তুলেছি। আর জি কর নিয়ে যা চলছে, তাতে পুজোর বাজারে শুরুতেই একটা ধাক্কা লেগেছিল। তারপর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে শনিবারের পর আজও দেখলাম, দুর্যোগের মধ্যেও বিক্রিবাটা ভালোই। আশা করছি, পরবর্তী ছুটির দিনগুলোয় ভিড় আরও বাড়বে।’ দমদমের বাসিন্দা রূপা সাহা বান্ধবীকে নিয়ে হাতিবাগানে পুজোর কেনাকাটা করতে এসেছিলেন। বললেন, ‘রাস্তাঘাটের যা অবস্থা, তাতে এর আগে দু’-তিনদিন বেরব ভেবেও রিস্ক নিইনি। বেশি দেরি করে ফেললে আবার ভালো স্টক পাব না। তাই আজ ছাতা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি।’ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফাঁকা ফাঁকা থাকলেও বিকেলে নিউ মার্কেটে ফিরে আসে পুজোর বাজারের পরিচিত ভিড়। সন্ধ্যার দিকে কিছুক্ষণ আঝোরে বৃষ্টি হলেও কেনাকাটা চলে তার মধ্যেই। নিউ মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর মন্তব্য, ‘এতদিনে পুজোর বাজার বলে মনে হচ্ছে। আশা করছি, পুজো যত এগিয়ে আসবে, বাজার তত ভালো হবে।’
হাতিবাগান বা নিউ মার্কেটের তুলনায় গড়িয়াহাটে কেনাকাটার ভিড় এদিন কিছুটা হাল্কা ছিল। সেখানকার ব্যবসায়ী সজল দাস খেদের সঙ্গে বলেন, ‘আর জি করের ঘটনার জাস্টিসের জন্য আমরাও পথে নেমেছি। কিন্তু আমাদের মতো হাজার হাজার ব্যবসায়ীর কথাও একটু মাথায় রাখা দরকার।’ স্থানীয় হকার সংগঠনের নেতা নেতা দেবরাজ ঘোষ বলেন, ‘এই মিটিং, মিছিল আন্দোলন, তারপর বৃষ্টি। তবে আমরা আশাবাদী যে বাজার দ্রুত জমে উঠবে।’