গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
রাইগাছিতে নিজেদের কারখানায় বসে জুট ব্যবসায়ী আকবর আলি, মুহম্মদ আলিমুদ্দিনরা জানিয়েছেন, রাজ্য-দেশ তো বটেই, রাজারহাটের দক্ষ শিল্পীদের হাতে তৈরি হরেকরকম চটের ব্যাগ জাপান, জার্মানি, আমেরিকা, ফ্রান্স, স্পেনসহ নানা দেশে পৌঁছে যাচ্ছে। রাইগাছিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জুটশিল্পের সঙ্গে সাত-আট হাজার মানুষ যুক্ত। তাঁরা জুটব্যাগ তৈরি, সেলাই, সুতোকাটা, ভাঁজ করা, প্যাকিং, গাড়ি চালানোসহ নানা উপায়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়ির মহিলাদেরও একাংশ এই শিল্পে রোজগারের দিশা পেয়েছেন।
কিন্তু রাজারহাটের গুরুত্বপূর্ণ জুটশিল্পের অবস্থা এখন বেশ শোচনীয়। এজন্য প্রশাসনের নজরদারির অভাবকে দায়ী করেন বহু মানুষ। রাজারহাটের জুটমহল ঘুরে ব্যবসায়ীদের মুখে এই সমস্যার একাধিক কারণ শোনা গেল। তার মধ্যে রয়েছে প্রথমেই বলতে হয় বিঘ্নিত বিদ্যুৎ পরিষেবার কথা। ঝড়, বৃষ্টিসহ নানা দুর্যোগকালে দীর্ঘক্ষণ ‘পাওয়ার কাট’ থাকে। ফলে ভালো অর্ডার পেয়েও কাজে গতি বাড়াতে পারছেন না শিল্পীরা। দ্বিতীয়ত, নিউটাউন শহর ঘেঁষা রাজারহাট ব্লকে এজন্য কারিগরের অভাব দেখা দিয়েছে। ভালো কারিগররা শহুরে পছন্দমতো কাজ ধরে নিচ্ছেন। তৃতীয়ত, সঠিক সময়ে কোম্পানির পেমেন্ট না-পাওয়া। চতুর্থত, অসম প্রতিযোগিতার বাজার।
তাই মালিক পক্ষের উপার্জনেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রাজারহাট ব্লকে নির্বাচন ১ জুন। ভোট দেওয়ার আগে সব রাজনৈতিক দলের কাছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবাসহ নানা দাবি তুলছেন জুটশিল্পী ও কারবারিরা। তাঁদের বক্তব্য, জুটশিল্পে একটি কেন্দ্রীয় অনুদান মেলে। সেই অনুদান কোম্পানির ঘরে রয়ে যায়, সেটা শ্রমিকদের দেওয়া হয় না। এ নিয়ে কেন্দ্রের নজরদারির দাবি জানিয়েছেন কর্মচারীরা। কারখানা মালিকদের বক্তব্য, নানা প্রতিকূল অবস্থায় ব্যবসায় লাভ্যংশ তলানিতে ঠেকেছে। জুটব্যাগ তৈরিতে কোম্পানির ঘর থেকে কাটিং আসে। একটি ব্যাগ তৈরিতে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। সেই খরচ বাদে ব্যাগ প্রতি কমবেশি ১ টাকা ‘মার্জিন’ থাকে কোম্পানির। নিজস্ব চিত্র