গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হলেও এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠতে পারেননি। ভোট টানার ‘ক্যারিশমা’ও সেভাবে তাঁর নেই। তাই সংগঠন ও বিধায়কদের উপরই তিনি নির্ভরশীল। ফলে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে বিধায়কদের। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দক্ষিণ হাওড়া। ২০১১ সালে এই কেন্দ্র বামেদের থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। তারপর থেকে বরাবরই ঝুলি উপচে ভোট পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। বিধানসভার নিরিখে ২০১১ সালে তৃণমূল পেয়েছিল ৫৬ শতাংশের বেশি ভোট। ২০১৬ সালে তা কমে হয় ৪৮ শতাংশ, ২০২১ সালে তা ফের ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন তৃণমূলের নন্দিতা চৌধুরী। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পথে এই কেন্দ্র অনেকটাই অক্সিজেন জোগাতে পারে।
গত বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ হাওড়ায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি পেয়েছিল ৩১ শতাংশ ভোট এবং তৃতীয় স্থানে থাকা সিপিএম প্রার্থী পেয়েছিলেন ১৩ শতাংশ ভোট। অথচ মাত্র তিন বছর বাদে ‘সেকেন্ড বয়’ বিজেপিকে প্রতিপক্ষই হিসেবে আর ভাবছেই না শাসকদল! বরং তাদের চিন্তা সিপিএমকে নিয়ে। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, সিপিএমের সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হিসেবে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। প্রচারে নেমে রীতিমতো পরিশ্রম করছেন তিনি। ফলে তাঁকে দেখে সিপিএমের অনেক নিষ্ক্রিয় কর্মী সক্রিয় হয়েছেন। ফলে বাধ্য হয়েই তাঁকে নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। তাই জনসংযোগের সময় বেছে বেছে বলা হচ্ছে বাম আমলের অভাব-অভিযোগের কথা। কিন্তু বিজেপি কেন নয়? তৃণমূলের একাংশের দাবি, গত কয়েক বছরে যেভাবে পেট্রল-ডিজেল অথবা রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে, তাতে গেরুয়া শিবিরের উপর এমনিতেই অসন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ। এই বক্তব্যকে সমর্থন করে লেদ কারখানার শ্রমিক অপূর্ব কয়াল বলেন, রান্নার গ্যাস কিনতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এর নাম যদি ‘বিকাশ’ হয়, তাহলে তা চাই না। নিত্যযাত্রী রানা নস্কর বলেন, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হচ্ছে, অথচ বছরের পর বছর দক্ষিণ-পূর্ব রেলে লোকাল ট্রেনের সময়সূচির দফারফা হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হেলদোল নেই। দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভার মধ্যেই পড়ে হাওড়া পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড ও চারটি পঞ্চায়েত। প্রতিটি জায়গাতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ হাওড়ায় রয়েছে কয়েকটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতাল। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবাদে সেখানে বহু মানুষ চিকিৎসা করাচ্ছেন। এই সমস্ত জনমুখী প্রকল্পকে সামনে রেখেই জমি মজবুত করতে চাইছে তারা। নিজস্ব চিত্র