গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
তবে বৃষ্টি বেশি হলে কলকাতার যা হয় এদিনও তা হল। শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। ইএম বাইপাসের মতো ভিভিআইপি রাস্তাতেও দীর্ঘক্ষণ জমে ছিল জল। এছাড়া অন্যান্য এলাকাতেও জল জমে যায়। তবে বেশির ভাগ জায়গায় জমা জল দ্রুত নেমে গিয়েছে বলে নিয়মমাফিক দাবি জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তবে সাধারণ মানুষ জমা জলে নাকাল হয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগও তুলেছে।
এদিন পুরসভায় বৃষ্টির পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং। সেখানে অফিসারদের সঙ্গে বর্ষা পরিস্থিতি নিয়ে রিভিউ বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, বৈঠকে ঠিক হয়, বাইপাসের যে সব অংশে জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে সে জায়গাগুলিতে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতিতে পরিকল্পনা তৈরি হবে। মেয়র বলেন, ‘পাম্পিং স্টেশনগুলি কোথায় কেমন কাজ করেছে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। নিকাশি নালাগুলি থেকে রেকর্ড পরিমাণ পলি তোলা হয়েছে। আগে কলকাতায় দু-তিন দিন ধরে জল জমত। কিন্তু এখন দু-তিন ঘণ্টাতেই জল নেমে যায়।’
মানুষের বক্তব্য, চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই শহরের আবহাওয়া আরামদায়ক। কিছুদিন আগের সে ঠোঁটজ্বালা ধরানো গরম উধাও। লাগাতার এসি চালাতে হচ্ছে না। ওআরএসকম খেতে হচ্ছে না। কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম, সরবতের বিক্রিও কমেছে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কিছুটা ভ্যাপসা গরম ছিল। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকেই কালো মেঘ জমতে থাকে আকাশে। বজ্রপাতের শব্দও শোনা যায়। তারপরই শিলাবৃষ্টি। এ ঘটনায় একেবারে চমকে গেল কলকাতা। আহ্লাদে আটখানা হয়ে অনেক প্রবীণও বাচ্চাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিল কুড়োলেন বাড়ির সামনে। সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন জেলায় শিলাবৃষ্টি খবর শোনা গেলেও কলকাতায় দীর্ঘদিন পর শিল পড়তে দেখা গেল এদিন। দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ, যাদবপুর, কুঁদঘাট সহ একাধিক জায়গায় শিলাবৃষ্টি হয়।
পুরসভার নিকাশি বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। সকাল থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত ৭৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। তারপর বেশি বৃষ্টি হয়েছে মোমিনপুর এলাকায় (৬৮ মিমি)। ধাপা অঞ্চলে ৬৭ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। আর আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টার মধ্যে) ৫৬.৯ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুরসভার দাবি, কিছু পাড়ার রাস্তাতে জল জমেছে। তবে তা দ্রুত নেমেও যায়।