কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এমন একটা অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে প্রথমেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক জাভেদ। তাঁর কথায়, ‘প্রথমবার যখন কোনও কাজ হয় তার দিকে মানুষের আলাদা নজর থাকে। এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আমি খুব খুশি।’ ‘সারেগামাপা লেজেন্ডস’ অনুষ্ঠানে যে সব ব্যক্তিত্বকে সারা বিশ্ব তাঁদের নিজস্ব নামে, কাজের জন্য চেনে, তেমন দু’জন মানুষকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হচ্ছে। জাভেদ বলেন, ‘পঞ্চমদা মানে গ্রেট আর ডি বর্মনকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে এই অনুষ্ঠানে আমি তাঁরই কিছু গান গাইব। আমার উপস্থাপনায় থাকবে ‘গুলাবি আঁখে’, ‘চাঁদ মেরা দিল’। কিশোরদার ‘রাত কলি’, ‘তেরে বিনা জিন্দেগি সে’, ‘প্যায়ার দিওয়ানা হোতা হে’ গানগুলো।’
জি বাংলার সঙ্গে জাভেদের সম্পর্ক বহুদিনের। বললেন, ‘প্রথম রিয়ালিটি শো এই চ্যানেলের জন্যই করেছিলাম। ২০১১ তে। তার মাধ্যমে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিলাম।’
কলকাতা কানেকশন
কলকাতার সঙ্গে জাভেদের যোগসূত্রের মাধ্যম গান। জাভেদের কথায়, ‘কোনও শিল্পীই বলবেন না, কলকাতায় এসে আনন্দ হয়নি। প্রত্যেক শিল্পী, প্রত্যেক পারফর্মারের এটাই সুপ্ত বাসনা থাকে যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতার দর্শকের সামনে অনুষ্ঠান করবেন। কলকাতার দর্শক মিউজিক নিয়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ। এমন দর্শক পেলে অনুষ্ঠান করার মজা আরও বেড়ে যায়।’ কলকাতার মানুষ, সংস্কৃতি, গান, খাবার সব কিছু জাভেদকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। জাভেদ বললেন, ‘কলকাতার পাবদা, ভেটকি, ইলিশ মাছ খেতে দারুণ। এখানকার প্রত্যেকটা রান্নাই অন্য স্বাদের। কলকাতার বিরিয়ানিও আমার খুব ভালো লাগে।’
মাতৃভাষা
হিন্দি ছাড়াও জাভেদ বাংলা, মারাঠি, তামিল, তেলুগু, ওড়িয়া— এমন অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন। এর মধ্যে আপনার পছন্দের ভাষা কোনটি? প্রশ্ন শোনা মাত্রই খুব হেসে উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, প্রায় সব ভাষাতেই গান করে ফেলেছি। তবে হিন্দি তো আমার মাতৃভাষা। তাই প্রথম প্রেম মাতৃভাষার প্রতি। তারপরে যদি কোনও ভাষার কথা বলি সেটা অবশ্যই বাংলা।’
নতুন প্রজন্ম
নবীন প্রজন্মের সঙ্গীত শিল্পীদের প্রশংসা শোনা গেল জাভেদের কথায়। ‘এখনকার যত গায়ক আছেন, তাঁদেরকে আলাদা করে কিছু বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সবাই সব জানে। প্রত্যেকেই ভালোভাবে কাজ করছেন।’
লাইমলাইট
রিয়ালিটি শো থেকে কি যথার্থ প্রতিভা সামনে উঠে আসে? দীর্ঘদিনে নানা রিয়ালিটি শোয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা জাভেদ বলেন, ‘আগে লোকে জিজ্ঞেস করতেন, আপনি কার স্টাইলে, কার কণ্ঠে গান করেন? কিন্তু এখন সবাই নতুন কিছু শুনতে চায়। কারও মধ্যে যদি সত্যিই প্রতিভা থাকে, মানুষ তাঁকে গ্রহণ করবেই। রিয়ালিটি শো-তে অংশ নেওয়ার পরও প্লেব্যাক সিঙ্গার হতে না পারলে অনেকেই নিজস্ব শো শুরু করে দেন। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। নিজস্ব দর্শক তৈরি করতে পারেন। তাই বলব, রিয়ালিটি শোয়ের উপকারিতাই বেশি।’
নতুন কাজ
প্রতি সপ্তাহেই তাঁর কোনও না কোনও নতুন গান রিলিজ হয় বলে জানালেন জাভেদ। ‘সম্প্রতি ‘ডাঙ্কি’তে একটা, ‘ময়দান’-এ দু’টো গান গেয়েছি। সব ধরনের মিউজিক কোম্পানির সঙ্গেই আমি সিঙ্গল থেকে সিনেমার গান, সবরকমই গাইছি।’