Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। পরপর বিকট আওয়াজ। কেঁপে উঠল চারপাশ। মাথা থেকে ৩০-৪০ গজ দূরে বোমা পড়েছে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে হাসপাতাল। বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। চোখ ঝাপসা। দিশেহারা লাগছে। উঠলেই হাওয়াই জাহাজ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসছে গুলি। গর্তের মধ্যে শুয়ে শুনছি রোগীদের শেষ আর্তনাদ। একের পর এক বারাক পোড়ার দৃশ্যে চোখের জলও শুকিয়ে গিয়েছে। কাঁপা কাঁপা হাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে আধপোড়া স্টেথোস্কোপ তুলে পকেটে ঢোকালাম।’
কী ভাবছেন? ইউক্রেন বা প্যালেস্তাইনের বধ্যভূমিতে থাকা কোনও চিকিৎসকের আঁখো দেখা কাহিনির বিবরণ? ঘটনাস্থল নিশ্চিতভাবে যুদ্ধক্ষেত্র হলেও প্রেক্ষাপট আলাদা। সেই সময়কে অনুধাবন করতে টাইম মেশিনে পিছিয়ে যেতে হবে আট দশক আগে। বিশ্বযুদ্ধের রণাঙ্গনে সেদিন মৃত্যুর সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছিলেন বাংলার এক যুবা চিকিৎসক। হুগলির ইমামবাড়া লাগোয়া মোগলপুরা লেনের বাসিন্দা বিনয়কুমার নন্দী ডাক্তারি পাশ করে যোগ দেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে। সিঙ্গাপুরে যুদ্ধবন্দি হওয়ার পরে শুরু হয় দেশকে মুক্ত করার মরণপণ সংগ্রাম। রেঙ্গুন ও বার্মার জঙ্গলে হার না মানা লড়াই। নেতাজির সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা। কাঁকর মেশানো চাল ও শুঁটকি মাছ পোড়া খেয়ে পাহাড়ি জঙ্গলে ইংরেজ সেনার সঙ্গে গেরিলা যুদ্ধ। লালকেল্লার বিচার শেষে মুক্ত হওয়া আইএনএ’র লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিনয় নন্দী চিরকাল থেকে গিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালেই।
১৯৪১ সালের ২ সেপ্টেম্বর। মিলিটারি জওয়ানদের লখনউ নিয়ে যাওয়া হবে। হাওড়া স্টেশনে দাড়িয়ে স্পেশাল ট্রেন। সদ্য ডাক্তারি পাশ করা পঁচিশ বছর বয়সি বিনয়বাবুর কাঁধে ব্যাগের বোঝা। বাবা নরেন্দ্রনাথ নন্দী পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে ছেলের পাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে। ট্রেনের বাঁশি শুনে অস্ফুটে বললেন, ‘সাবধানে থেকো।’ ছুটল ট্রেন। থামল বর্ধমান স্টেশনে। সেখানে অপেক্ষা করছিলেন মা প্রভাসনন্দিনীদেবী। চোখে জল। ছেলেকে একটিই প্রশ্ন করলেন, ‘কবে ফিরবে?’ উত্তর দেওয়ার আগেই হুইসেলের আওয়াজ। কান্না বুকে চেপে ট্রেনে উঠলেন যুবা। এরপর লখনউ আইএইচসি (ইন্ডিয়ান হসপিটাল কোর) থেকে স্পেশাল মিলিটারি ট্রেনে মিরাট হয়ে বম্বে। ১৯৪২ সালের ১৮ জানুয়ারি বম্বে ডক থেকে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে অজানা গন্তব্যে রওনা। মাথার উপর যুদ্ধবিমান ও এয়ার রেড অ্যালার্ম শুনে জলে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি, জাহাজের পাশে বোমা পড়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়ার স্মৃতি নিয়ে সিঙ্গাপুরে পৌঁছন বিনয়বাবু। ১১দিন পর ২৯ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরের মাটি ছুঁতেই জাপানি আক্রমণের মুখে পড়েন তাঁরা। ডায়েরিতে তিনি লিখেছেন, ‘জাপানি বোমায় ছিন্নভিন্ন হচ্ছে সিঙ্গাপুর। বোমার আঘাতে কারও পা উড়ে গিয়েছে। কেউ বা জলের জন্য হাহাকার করছেন। বোতল থেকে তাঁদের মুখে জল দিলাম। এমন ভয়াবহ দৃশ্য আগে দেখিনি। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্রুত পট পরিবর্তনের শুরু। বিজয়ের গর্বে ছুটে আসছে জাপানিরা। আকাশে ঘুরছে জাপানি যুদ্ধবিমান। বিধ্বংসী হামলায় দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে ছবির মতো শহর সিঙ্গাপুর। বাড়ি-গাড়ি ফেলে হাজার হাজার মানুষ জাহাজে চেপে অন্য দেশে পালাচ্ছেন।’
এর পরেই টায়েরসাল পার্কের অস্থায়ী হাসপাতালের উপর শুরু হল জাপানি হানা। 
রাতজোরে বেঁচে যাওয়া বাঙালি ডাক্তার দেখলেন যুদ্ধের বীভৎসতা। বোমা-আগুনে ঝলসে মারা গেলেন কয়েকশো রোগী, চিকিৎসক ও নার্স। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে আধপোড়া রোগীদের উদ্ধার করে চলছে চিকিৎসা। শেষ পর্যন্ত জাপানি সেনার হাতে এল সিঙ্গাপুর। দখল নিয়েই তারা জানাল, ভারতীয় সেনার সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। ভারতকে ব্রিটিশদের হাত থেকে রক্ষা করতে চায় তারা। যেসব বন্দি ভারতীয় সেনা দেশের স্বাধীনতা লড়াইয়ে যেতে চান, তাঁরা জাপানিদের সঙ্গে যেতে পারেন। যাঁরা চাইবেন না, তাঁদের ব্রিটিশদের সঙ্গে জেলে বন্দি রাখা হবে। ক্যাপ্টেন মোহন সিং, আলাগাপ্পান সাহেবরা একের পর এক বন্দি সেনাদের ক্যাম্পে মিটিং শুরু করলেন। ভালো-মন্দ নানারকম আলোচনার পর তৈরি হল আইএনএ। শুরু হল ট্রেনিং, প্যারেড। তৈরি হল পোশাক ও ব্যাজ। কিন্তু ৬০-৬৫ হাজার ভারতীয় জওয়ানদের মধ্যে মাত্র ১৫ হাজার সেনার হাতে দেওয়া হল বন্দুক। তৈরি হল আজাদ, গান্ধী, নেহেরু ও সুভাষ ব্রিগেড। কিন্তু সকলের হাতে অস্ত্র না দিলে যুদ্ধে যেতে আপত্তি জানালেন আইএনএ’র অফিসার ও সেনারা। জেনারেল মোহন সিংয়ের সঙ্গে আলোচনার পর পুড়িয়ে দেওয়া হল ব্যাজ ও পোশাক। ভারতীয় সেনার ক্ষোভ প্রশমনে রাসবিহারী বসুকে আনলেন জাপানিরা। আইএনএ পুর্নগঠনের পরামর্শ দিলেন তিনি। কিন্তু তখন তাঁর ছেলে জাপানের সেনাবাহিনীতে কর্মরত। এমনকী রাসবিহারী বিয়েও করেছেন জাপানে। সেই কারণে তাঁকে সেভাবে কেউ বিশ্বাস করতে পারলেন না। দাবি উঠল, সুভাষচন্দ্র বসুকে না আনলে আমরা আইএনএ গঠন করব না।
রেডিওতে ভাষণের পর জার্মানি থেকে জাপানের বিদ্যাধরী ক্যাম্পে এলেন সুভাষচন্দ্র বসু। সার্বিক বিশ্বের পরিস্থিতি বর্ণনা করে বললেন, ‘সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। সেনারা রাজি থাকলে দেশবাসীকে স্বাধীনতার যুদ্ধে আহ্বান করব।’ তাঁর সেই  অমোঘ ডাকে রাজি সকলে। রাতদিন এক করে শুরু হল প্রস্ততি। দেশকে স্বাধীন করার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ সমস্ত জওয়ান। হিন্দু-মুসলিম-শিখ সবাই এক প্লেটে খাচ্ছে। উধাও জাতপাতের বেড়াজাল। গঠিত হল ইউনিট। গন্তব্য বার্মা। রেঙ্গুনে নেতাজির ভাষণ দেশাত্মবোধের আগুন জ্বালিয়ে দিল। বার্মার লোকজন এগিয়ে এল আইএনএকে অর্থসাহায্য করতে। সম্ভ্রান্ত বাড়ির ছেলেমেয়েরাও সেনাবাহিনীতে নাম লেখালেন নির্দ্বিধায়। ততদিনে সুভাষচন্দ্র মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন নেতাজি।
অন্যদিকে, রেঙ্গুন হাসপাতালের উপর বোমাবর্ষণের পর তা স্থানান্তরিত হল মেমিওতে। ডায়েরিতে বিনয় নন্দী লিখছেন, ‘সুপ্রিম কমান্ড নিয়ে সেখানে এলেন নেতাজি। শুরু হল ইম্ফল দিয়ে ভারতবর্ষে প্রবেশের জোরদার প্রস্তুতি। মাঝেমধ্যেই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসতেন সুভাষচন্দ্র। তাঁর কাছে দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশের জন্য জীবন দেওয়ার ব্রত নিলেন প্রত্যেকে। কিন্তু প্রবল বর্ষা শুরু হওয়ায় পিছিয়ে পড়ল আইএনএ’র সেনারা। বাধ্য হলেন ইম্ফল ছেড়ে পিছিয়ে আসতে। বর্ষায় চিনডুই নদী পার হতে গিয়ে অনেকে ভেসে গেলেন। খাদ্য সঙ্কট ও ম্যালেরিয়ার দাপটে রাস্তায় শত শত সেনার দেহের সারি। 
এবার রেঙ্গুন থেকে আরাকান ফ্রন্ট লাইন। বাংলা ও বার্মার সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলে ওঁত পেতে বসে আইএনএ ও জাপানি সেনাবাহিনী। নৌকায় ইরাবতী নদী পেরিয়ে প্যাডং। সেখান থেকে পাহাড়ি জঙ্গল পথে প্রায় ২০০ মাইল পাড়ি দিয়ে জাপানি ক্যাম্প। ব্রিটিশ যুদ্ধবিমানের নজর এড়িয়ে রাতের পর রাত নৌকায় গোপন যাত্রায় পৌঁছনো গেল আলিচং হয়ে রাথিডংয়ে। আরাকানের জঙ্গল থেকে কাঠ জোগাড় করে সকালে মধ্যেই শেষ করতে হবে রান্না। বেলায় ধোঁয়া দেখতে পেলেই হামলা চালাবে ব্রিটিশরা। রান্না বলতে অবশ্য কাঁকর মেশানো চাল সেদ্ধ, নুন ও লঙ্কা। কপাল ভালো হলে জাপানি রেশনে পাওয়া শুঁটকি মাছের পোড়া। দীর্ঘ কয়েক মাসের যাত্রায় ক্লান্ত, অসুস্থ বাহিনী ক্রমশ পিছচ্ছে। ব্রিটিশদের দখলে আসছে সমগ্র বার্মা।
শেষ পর্যন্ত বন্দি হলাম ব্রিটিশদের হাতে। শাহনওয়াজ, ধিঁলো, সায়গল সহ প্রথম সারির সেনাধ্যক্ষদের সঙ্গে দেখা হল ব্রিটিশ ক্যাম্পে। জিগড়গাছা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় স্টিমারে শুনলাম, হিরোসিমায় অ্যাটম বোমা পড়েছে। আত্মসমর্পণ করেছে জাপানিরা। বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছেন নেতাজি। তার মধ্যে আমাদের নিয়ে যাওয়া হল দিল্লিতে। সেলের মধ্যে শুরু হল জিজ্ঞাসাবাদ। আইএনএ’র কর্নেল আলাগাপ্পান, কর্নেল এ চট্টোপাধ্যায়, শাহনওয়াজ সহ আইএনএ’র রথী-মহারথীদের সঙ্গে ওই ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হল আমাকেও। জেলের মধ্যে অসুস্থতা, ভোপালে কারাবাস পর্ব মিটিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৯৪৬ সালের মে 
04th  February, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
বইমেলার কড়চা

 ‘পাঁচটা টাকা দেবেন?’ —‘মানে কী! বইমেলাতেও ভিক্ষা!’ —‘ভিক্ষা নয়, দাবি।’ কথা বলতে বলতেই হাতে ধরিয়ে দিলেন একটি চটি বই—‘রুখা কবির ভুখা পদ্য।’ শীর্ণকায়, অপুষ্টিধ্বস্ত কবিকে সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেই চট করে পড়ে ফেললাম প্রথম দু’টি কবিতা।
বিশদ

28th  January, 2024
একনজরে
এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM