Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট। তিনি ভারতের শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্বাধীনতার সময় যা যা ভুল হয়েছিল, সেসবের সংশোনকারী এক পরিত্রাতা। ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৪ সালে ভারতে যা যা হয়েছে, সব ভুল। নব ভারতের নির্মাণ হয়েছে গত ১০ বছর ধরে। আরও হবে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, গত ১০ বছর তো ট্রেলার হয়েছে। এবার আসল সিনেমা হবে। এই কথায় আমরা বিস্মিত হয়ে আরও আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করব। তিনি বলবেন, বিনামূল্যে ৮০ কোটি মানুষকে চাল গম দেওয়ার কথা। কৃষকদের ৬ হাজার টাকা করে বছরে অনুদান। অযোধ্যায় বহু প্রতীক্ষিত রামমন্দির নির্মাণ। ভারতের নিজস্ব চন্দ্রযান চাঁদে পৌঁছনোর কথা। ভারত জি টুয়েন্টি গোষ্ঠীর সভাপতি হয়েছে। জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত ডিনারে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী কিছু বছরের মধ্যেই নাকি ভারত পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে যাবে। ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করা হচ্ছে অতি দ্রুত। ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী রাশ টানতে পারেন। ভারতের সম্মান এখন নাকি বিশ্বে উত্তরোত্তর বাড়ছে। আমরা জেনে নেব জওহরলাল নেহরু কতটা খারাপ ছিলেন।। গান্ধী পরিবার কী কী কারণে পরিত্যাজ্য। বিরোধী হলেই সে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং জেলে পাঠানো উচিত। আমরা জানি, সোমবার যে চোর, মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সে স্বচ্ছ। আমরা জানি, বুধবার যে খারাপ, বৃহস্পতিবার সে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ভালো। 
আমাদের অসম্ভব অবাক লাগছে যে, এসব প্রচার থেকে হঠাৎ গত রবিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পূর্ণ সরে এসেছেন। উন্নয়ন, বিকশিত ভারত, অমৃতকাল, কর্তব্যকাল, আচ্ছে দিন, সবকা সাথ সবকা বিশ্বাস, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, সব। হ্যাঁ, সব ভেসে গিয়েছে হঠাৎ কোন এক অজানা স্রোতে। সামনে এসে বিপুল পাহাড়ের মতো হাজির হয়েছে হিন্দু বনাম  মুসলিম। প্রধানমন্ত্রী ১০ বছরের সব ইস্যু আর নিজের লার্জার দ্যান লাইফের রাষ্ট্রনায়ক রাষ্ট্রনায়ক টাইপের আচরণ ও স্টাইল ভুলে গিয়ে মরিয়া হয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু সেনা এবং বজরং দলের সুরেই কথা বলতে শুরু করেছেন। 
রাজস্থান থেকে ছত্তিশগড়। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশবাসীর সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দেবে। নারীর মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে কংগ্রেস। দলিত ও আদিবাসীদের সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের দেবে কংগ্রেস। রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় মুসলিমদের পরিচয় দিতে গিয়ে কী বলেছেন তিনি? বলেছেন, আপনাদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে কাদের বণ্টন করে দেওয়া হবে জানেন তো? যাদের সন্তান বেশি হয় তাদের। অনুপ্রবেশকারী বহিরাগত মুসলিমদের স্বজনপোষণ করে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা। এই অভিযোগে সরব প্রধানমন্ত্রী। 
বিস্ময় লাগছে এখানেই। ১০ বছর তিনি যদি সুশাসন চালিয়ে ভারতকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই সুশাসনের নমুনাগুলিই তো তাঁর ভোটপ্রচারের ‌ইস্যু হওয়া উচিত ছিল। মানুষ সেগুলি চোখের সামনে দেখে এবং নিজেদের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করে তাঁর দলকেই ভোট দিয়ে আবার তৃতীয়বারের জন্য তাঁর সরকারকে অধিষ্ঠিত করবে। ১০ বছর ধরে যে উন্নয়ন আর সুশাসনের কথা তিনি বলেন ভারতজুড়ে, ভোটের প্রচারে সেই উন্নয়নকে ভুলে গিয়ে সবথেকে প্রকট এবং শেষ আশ্রয় হিন্দু বনাম মুসলিম চর্চা নিয়ে আসতে হল কেন প্রধানমন্ত্রীকে? তিনি কি নিজেই আর বিশ্বাস করছেন না যে, তাঁর ঘোষিত এবং প্রচার করা উন্নয়নের স্লোগানগুলি মাটিতে সেভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি? বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় তাহলে কি সাধারণ মানুষ প্রবলভাবে প্রত্যাঘাতের অপেক্ষায়? সেরকম কোনও আভাস ইঙ্গিত কি মোদি পাচ্ছেন? তাঁকে যতটা স্থিতধী এবং আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছিল এক মাস আগেও, সেরকম যেন দেখাচ্ছে না। বিশেষ করে এরকম সব ভাষণ দিতে হচ্ছে কেন? সুশাসনের দাবি ভোটে জেতার জন্য  যথেষ্ট মনে হচ্ছে না কেন? 
এতটা টেনশনের চোখমুখ, এতটা মাত্রাজ্ঞানহীন, এতটা ভীত সন্ত্রস্ত এবং তাই বেপরোয়া শব্দচয়ন ও বাক্য উচ্চারণ দেখে দেশবাসীর সূক্ষ্ম সন্দেহ 
হচ্ছে, তাহলে কি মোদি প্রথম দফার ভোটের পর কিছু পূর্বাভাস পাচ্ছেন? তিনি কি গরিষ্ঠতা হারানোর আশঙ্কা করছেন? ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার ভূত তাঁকে চিরকাল তাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়েছে। তাঁকে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা উগ্র সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়েছে। মোদি বহু যত্ন করে গত ১০ বছর ধরে নিজের উন্নয়নশীল, স্টেটসম্যান সুলভ একটি ইমেজ নির্মাণে প্রাণপণে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অথচ ভোটের আগে সেই সযত্নলালিত ইমেজের এভাবে ধ্বংস করলেন কেন? তিনি কেন আবার এভাবে প্রকটভাবে হিন্দু, মুসলিম ইস্যুকে তীক্ষ্ণভাবে সামনে নিয়ে এসে নিজেকে আবার পিছিয়ে নিয়ে গেলেন? নাকি আসল মোদি এরকমই? এতদিন আমরা মুখোশ পরা কাউকে দেখেছি! 
মোদির ভক্ত দুরকমের। একদল বলে থাকে, আমরা বিজেপি নই। আমরা মোদিজিকে দেখে উদ্দীপ্ত। আমাদের মনে হয়েছে তিনি কিছু একটা করবেন। ভারতের উন্নতি একমাত্র তিনিই আনতে পারবেন। হিন্দুত্ব টিন্দুত্ব আমাদের কাছে কোনও ইস্যু নয়। এই অবস্থান আদৌ কতটা সত্য সেটা এখনও প্রমাণিত হয়নি। যদি সত্য হয়, তাহলে এই অংশকে মোদি প্রবল অস্বস্তিতে ফেললেন। কারণ, তাঁরা ১০ বছর ধরে বলে আসছেন, মোদি মোটেই সাম্প্রদায়িক মনোভাব বরদাস্ত করেন না। তাঁর একটাই লক্ষ্য, ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিক। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ইদানীং মোদি যে ভাষণ দিচ্ছেন এবং এভাবে আশ্চর্য বিভাজনের রাজনীতিকেই প্রধান বক্তব্য হিসেবে প্রচার করছেন, এটা ওই উন্নয়নের মোদিকে পছন্দ করা ভক্তের দলকে কি খুশি করছে? তারা কি বিব্রত অথবা একটু বিরক্ত হচ্ছে না? 
মোদির ভক্তদের আর একটি দল আছে, যারা সংখ্যাগুরু। তারা মোদিকে সরাসরি হিন্দু হৃদয়সম্রাট হিসেবেই পছন্দ করে। তাঁর মুঘলবিরোধী হুংকার। মুসলিম নামাঙ্কনের শহর, রাস্তা, সিলেবাস মুছে দেওয়া। হিন্দু শব্দটির পরিবর্তে আচমকা গত দেড় বছর ধরে ‘সনাতন’ শব্দ বেশি বেশি করে বলা, ইত্যাদি শুনে এই অংশটি খুব উজ্জীবিত হয়। তাই মোদির এতদিনের যে বিশ্বগুরু, পাঁচ ট্রিলিয়ন ইকনমি, বিনামূল্যে রেশন, সকলের জন্য ঘর, সকলের জন্য পানীয় জল, সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন প্রকল্প, ইত্যাদি বিষয় এই উগ্র অংশের কাছে তেমন উত্তেজনাপূর্ণ ছিল না। তাঁরা দেখতে চান, হিন্দু সম্রাট মোদিকে। তিনি হুংকার দেবেন, তিনি হুঁশিয়ারি দেবেন, তিনি রামমন্দির নির্মাণ করে বলবেন আগামী ১ হাজার বছর ধরে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে, এসব শুনতেই এই অংশের ভালো লাগে। অতএব মোদির সাম্প্রতিক ভাষণগুলো এই অংশের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হবে বলাই বাহুল্য। 
কিন্তু যাঁরা তাঁকে উন্নয়নের কাণ্ডারী এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ঊর্ধ্বে দেখতে চেয়ে নিজেদের বিশ্বাসকে পণ রেখেছিলেন, সেই ভোটব্যাঙ্কের কী হবে? তাঁদের মনে এখন তো সন্দেহ হওয়াই সঙ্গত যে, তাহলে কি ভুল ভেবেছিলাম? আসলে মোদি কখনওই নিজেকে বিভাজন থেকে অনেক উপরে নিয়ে গিয়ে এক সামগ্রিক সর্বজনগ্রাহ্য স্টেটসম্যান হতে পারেননি অথবা চাননি? এই অংশের বিশ্বাসে কি এবার কিছুটা ধাক্কা লাগল? তাঁরা যখন মোদি বিরোধীদের সঙ্গে তর্ক করতেন এতকাল,উন্নয়ন আর বিকাশের যুক্তিগুলিকে হাতিয়ার করে, এবার কি সেই যুক্তিগুলি কিছুটা ভোঁতা হয়ে গেল? কারণ, মোদি বিরোধীরা প্রশ্ন করতেই পারেন যে, ১০ বছর সফলভাবে রাজত্ব করার পর উন্নয়নের ইস্যুতেই তো ভোট চাওয়ার কথা ছিল! অথচ এখনও কেন হিন্দু মুসলিম ইস্যুকেই প্রধান চালকের আসনে রাখা হল? তাহলে তো মোদি নিজেই আত্মবিশ্বাসী নন? তাই এতটা মরিয়া হয়ে তাঁকে এসব কথা উচ্চারণ করতে হচ্ছে! কংগ্রেস এমনিতেই দুর্বল। কংগ্রেসকে শক্তিহীন প্রমাণ করার জন্য, মোদি নিজের উন্নত ইমেজের অধীত শক্তিক্ষয় করে ফেললেন কেন? ভোট সহজে আসছে না? ২৭২ আসন নিয়ে চিন্তা হচ্ছে? নাহলে এভাবে নিজের টেনশন প্রকাশ করে ফেলা তো মোদিকে মানায় না! 
প্রকৃত বুদ্ধিমান কেউ সত্যিই বিশ্বাস করে যে, কংগ্রেস বা যে কোনও দল ক্ষমতাসীন হয়ে ভারতবাসীর সম্পদ দখল করে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিলি করে দেবে? একটি সরকার নারীদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নিয়ে সংখ্যালঘুদের দিয়ে দেবে? দলিত, অনগ্রসর এবং আদিবাসীদের সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দেবে কোনও সরকার? এসব ২০২৪ সালের ভারতে সম্ভব? যে দল এসব করার চেষ্টা করবে, তাদের এক মুহূর্ত ক্ষমতাসীন হয়ে থাকা সম্ভব ভারতের মতো প্রবল গণতান্ত্রিক দেশে? মোদিও জানেন এসব সম্ভব নয়। তাহলে তিনি বলছেন কেন? কেন তাঁকে দেশবাসীকে ভয় দেখাতে হচ্ছে? কেন নিজের কাজের জন্যই তিনি ভোট পাবেন, অযথা বিভাজনের রাজনীতির দরকার নেই, এটা মেনে নিতে পারছেন না? হঠাৎ কনফিডেন্স এত কমে গেল কেন তাঁর? 
স্বয়ং মোদি এখনও পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পেরেছেন যে ভারত হিন্দুরাষ্ট্র হবে? পারেননি। তিনিও জানেন যে, ওটা হবে না। যতই ভক্তরা মনেপ্রাণে চান। ভারতের সবথেকে শক্তিশালী শব্দবন্ধ স্বৈরতন্ত্রী-শাসক নয়। ভারতের সর্বশক্তিমান শব্দের নাম হল, সাধারণতন্ত্র! সোজা কথায় জনতা জনার্দন!  বাড়াবাড়ি ভারত কোনওদিন বরদাস্ত করেনি। 
26th  April, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
একনজরে
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে অভিযোগের সংখ্যা। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করার জন্য সি-ভিজিল অ্যাপে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে দু’হাজারের উপর অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রায় সব দলই কম বেশি একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ...

প্রচারের শেষ দিনে সামশেরগঞ্জে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শোয়ে জনপ্লাবন। সমর্থকদের কারও হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, কারও হাতে ‘উই লাভ অভিষেক’ লেখা ফ্লেক্স। ...

হ্যামলিনের সেই বাঁশিওয়ালার গল্প জানতে বইয়ের পাতা ওল্টাতে হয়। তাঁর বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে সকলেই বেরিয়ে আসতেন। বাস্তবে সেই চিত্র যেন ধরা পড়ল বর্ধমানে তৃলমূল ...

বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যে হয় হয়। কান্নুরের আকাশজুড়ে ছড়িয়ে লালচে আভা। কিছুটা দূরে ধুলোর কুণ্ডলি পাকিয়ে উঠেছে। একটু ভালো করে তাকাতেই বোঝা গেল, দ্রুতগতিতে একটা গাড়ি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নো-ডায়েট দিবস
১৫৪২: প্রথম খ্রিস্টান মিশনারি ফ্রান্সিস খ্যাভিয়ের গোয়ায় আসেন
১৫৮৯: ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ, আকবরের সভার নবরত্নের অন্যতম তানসেনের মৃত্যু
১৭৩৩: প্রথম আর্ন্তজাতিক বক্সিং ম্যাচে বব হুইটেকার টিটু ডি কার্নিকে হারায়
১৭৭৫: ব্রিটিশ রাজের হাতে মহারাজ নন্দকুমার গ্রেফতার
১৮৪০: ইংল্যান্ডে প্রথম ডাকটিকিট চালু হল
১৮৫৬: অস্ট্রিয়ার মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েডের জন্ম
১৮৫৭: মঙ্গল পাণ্ডেকে সিপাহি বিপ্লবের প্রথম শহীদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়
১৮৬১: স্বাধীনতা সংগ্রামী মতিলাল নেহরুর জন্ম
১৮৮৯: সকলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত হল প্যারিসের আইফেল টাওয়ার
১৯১১: পিকাসোর আঁকা ৩ কোটি ডলার মূল্যমানের ছবি প্রাগ ন্যাশনাল গ্যালারি থেকে চুরি হয়
১৯৪০: উইন্সটন চার্চিল বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন
১৯৫৩: ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের জন্ম
১৯৮১: ক্রিকেটার লক্ষ্মী রতন শুক্লার জন্ম
১৯৮৩: অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ গগন নারাংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৬ টাকা ৮৪.৩০ টাকা
পাউন্ড ১০২.৯৮ টাকা ১০৬.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৮.৩১ টাকা ৯১.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

২৩ বৈশাখ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ মে ২০২৪। ত্রয়োদশী ২১/৩০ দিবা ২/৪১। রেবতী নক্ষত্র ৩১/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৪৩। রেবতী নক্ষত্র ৩১/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৪/৫৩, সূর্যাস্ত ৬/১/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/১৭ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ২/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৬ গতে ৫/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪২ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে ৪/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। 
২৩ বৈশাখ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ মে ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/২। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩১। সূর্যোদয় ৫/৫, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ গতে ৯/১ মধ্যে ও ১১/১২ গতে ২/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৮ গতে ৫/১৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১১ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৫১ বলে সেঞ্চুরি সূর্যকুমার যাদবের, হায়দরাবাদকে ৭ উইকেটে হারাল মুম্বই

11:26:11 PM

আইপিএল: ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি সূর্যকুমার যাদবের, মুম্বই ১০৯/৩ (১২.২ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:57:36 PM

আইপিএল: মুম্বই ৯৩/৩ (১১ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:49:35 PM

আইপিএল: শূন্য রানে আউট নমন ধীর, মুম্বই ৩১/৩ (৪.১ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:14:49 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রোহিত শর্মা, মুম্বই ৩১/২ (৩.২ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:10:53 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট ঈশান কিষাণ, মুম্বই ২৬/১ (১.৪ ওভার) টার্গেট ১৭৪

10:00:53 PM