Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন। যাঁদের প্রশ্নের মুখে ফেলা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেকেই কিন্তু মধ্যবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত। নজর করার মতো বিষয় হল, তিনটি কাজ অনেক দূরের গ্রহ, অনেকে একটি কাজের কথা বলতে গিয়েই হোঁচট খাচ্ছেন। এক উত্তরদাতার সঙ্গে কথোপকথন...
—প্রথমেই বলতে হবে, মোদিজি আমাদের দেশকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গিয়েছেন। জি-২০ করেছেন।
—আপনার উপকার হয়েছে এমন...।
—বলছি, বলছি... রামমন্দির।
—রামমন্দিরে সরাসরি আপনার উপকার হয়েছে?
—না, তা হলেও। ৫৫০ বছরের ডিসপুট মিটিয়েছেন মোদিজি। 
—তাহলে সেটাকেই আম জনতার রোজকার কাজে লাগার মতো বিষয় ধরতে পারি?
—না, তা নয়। আচ্ছা তিন তালাক!
—আপনি মুসলিম?
—না। 
—তাহলে তিন তালাক রদ আপনাকে কীভাবে সাহায্য করল?
—ঠিক আছে, ঠিক আছে। তাহলে কাশ্মীরে ৩৭০। 
—সে কী, আপনি তো থাকেন কোচবিহারে। কাশ্মীরে ৩৭০ খারিজ হওয়ায় আপনার কী লাভ হল?
—জয় শ্রী রাম।
ইন্টারভিউ শেষ। এই ছবি কিন্তু দেশের সর্বত্র। নরেন্দ্র মোদির ক্যারিশমা নিয়ে বহু মানুষই উদ্বাহু হতে পারেন, তাঁর জমানায় সাধারণ মানুষের সরাসরি কী উপকার হয়েছে, সেই উত্তর খুঁজতে ভক্তকুলও মাথা কুটছে। আগামী শুক্রবার উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোট। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। আর তার প্রাক-মুহূর্তে আম ভোটারের মনে জেগে ওঠা অকাট্য প্রশ্নটা হল, কোন কোন প্রতিশ্রুতি এই পাঁচ বছরে পূরণ হয়েছে? ২০১৯ এবং ২০২১ সালের ভোটে উত্তরবঙ্গের এই জেলাগুলিতেই পায়ের তলার জমি শক্ত করেছিল বিজেপি। ফলে মোদি ব্রিগেডের পক্ষ থেকে যে যে প্রতিশ্রুতি উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য থালায় সাজিয়ে এসেছিল, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়েই তো প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। দুর্গাপুজোয় ভোগের দায়িত্ব যাঁকে দেওয়া হয়েছে, রান্না খারাপ হলে পাড়ার লোক তো তাঁকেই ধরবে। পাশের পাড়ার রাঁধুনিকে নিশ্চয়ই নয়। পাঁচ বছর ধরে ‘আস্থা’ রাখার পর কয়েকটি অমৃত ভারত স্টেশন ছাড়া উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য কিছুই জোটেনি। গোর্খাল্যান্ড? হয়নি এবং অদূর ভবিষ্যতে হওয়ার মতো কোনও সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। তা যে দলই সরকারে আসুক না কেন। চা-বাগানের স্বার্থ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমির পাট্টার ব্যবস্থা করেছেন, চা-সুন্দরী প্রকল্পের মাধ্যমে মাথার উপর ছাদের উদ্যোগ নিয়েছেন, শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি সুনিশ্চিত করেছেন। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এই পাঁচ বছরে চা-বাগানের জন্য কী করেছে? আলিপুরদুয়ারের ভোটভাগ্য কিন্তু এই ‘নজরকাড়া’ প্রশ্নের উপর অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে। আর এখানেই পেনিট্রেট করার চেষ্টায় আছে সঙ্ঘ। আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই এই কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাবনা পাকাপোক্ত করার জন্য সমাজের একেবারে নিচুতলায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উনিশের নির্বাচনে গোটা রাজ্যেই এই কাজটা চালিয়েছিল সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা। সেটা অবশ্য এখন সব জেলায় হচ্ছে না। বাছাই করা কিছু কেন্দ্রের জন্য তুলে রাখা হয়েছে। কেন? প্রার্থী নিয়ে মন কষাকষি? বঙ্গ বিজেপির বিশেষ কোনও নেতার প্রতি অ্যালার্জি? উত্তর স্পষ্ট নয়। তবে আলিপুরদুয়ারে তলায় তলায় কাজটা চালিয়ে যাচ্ছে সঙ্ঘ। কারণ, এখানকার বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। গেরুয়া শিবিরের একের পর এক প্রতিশ্রুতি এই জেলাতেও ফেল করেছে। গতবারের এমপি জন বারলা বিক্ষুব্ধ। মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে তিনি প্রথম থেকেই তোপ দেগে গিয়েছেন। চা-বাগানের সংগঠনের অন্দরেও তাঁর ভালোরকম প্রভাব। তার উপর ভোটের ময়দানে প্রবল খাটছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইকও। ঠিক যেখানে যেখানে মোদির গ্যারান্টির ফাঁক রয়েছে, সেই জায়গাগুলোই ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তিনি। তার উপর গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই জেলায় গেরুয়া সংগঠনের অনেকটাই তাঁর হাত ধরে তৈরি। ফলে গঙ্গাপ্রসাদের দল ছেড়ে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে বিজেপির জন্য বড় লোকসান। কোথায় কোথায় হাতুড়ি মারলে কাজ হবে, সেটা তিনি বিলক্ষণ জানেন। আপাতত সেটাই করে চলেছেন গঙ্গাপ্রসাদ। এই সব সমীকরণের প্রভাব যাতে ইভিএমে না পড়ে, তার জন্য ড্যামেজ কন্ট্রোলের খুব প্রয়োজন ছিল। সেই চেষ্টাটাই করছে আরএসএস। চা-বাগানের ইউনিয়নকে তারা বুঝিয়েছে, এবার ভোটটা উতরে দাও। সরকারে এলে তোমাদের দাবিদাওয়া বুঝে নেব। কী সেই দাবি? চা-বাগানের লভ্যাংশ। অধিকার। কিন্তু তাতেও কি বিজেপির পক্ষে পরিস্থিতি খুব অনুকূল হয়েছে? তেমনটাও বলা যাচ্ছে না। তার সবচেয়ে বড় কারণ, বিজেপির কাছে নতুন করে দেওয়ার মতো আর কোনও প্রতিশ্রুতিও নেই। আর এটা শুধু আলিপুরদুয়ার নয়, সমস্যা কোচবিহারেরও। এই কেন্দ্রের এমপি নিজেই আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে কতগুলো অভিযোগ রয়েছে, সেটা ভোটের বাজারে অপ্রাসঙ্গিক। সে তো আগেরবারও ছিল। তারপরও নিশীথ প্রামাণিক জিতেছেন। স্রেফ বিজেপি হাওয়ায়। এবারও তেমন একটা হাওয়া-টাওয়া তোলার চেষ্টা চলছে। কারণ বিজেপির অন্দরমহল জানে, নিশীথের উপর ক্ষোভ রয়েছে এলাকার মানুষের। একে তো পাঁচ বছরে ক’দিন তাঁকে সাধারণ মানুষ চোখের সামনে পেয়েছে, তা এক তালুর করেই গুনে বের করা যায়। সেটাও মেনে নেওয়া যেত। কারণ তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হিল্লি-দিল্লি করতেই পারেন। কিন্তু যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়ে দিল্লি পাঠিয়েছেন, তাঁদের কি কিছুই প্রাপ্য নেই জনপ্রতিনিধির কাছে? যদিও বা চোখের দেখা মিলল, কাছে ঘেঁষাই দায়। সব সময় খান আষ্টেক ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো ঘিরে রেখেছে তাঁকে। চেষ্টা করলে শাহরুখ খানের সঙ্গেও হাত মেলানো যায়। কিন্তু কোচবিহারের এমপি? ভাবতেই ভয়। উপরন্তু আবার বিস্তর চটেছেন অনন্ত মহারাজ। বিজেপি তাঁকে জামাই আদর করে রাজ্যসভায় নিয়ে গিয়েছে। টার্গেট ছিল, লোকসভা ভোটে রাজবংশী সমর্থন সবটা গেরুয়া শিবিরে আসবে। পদ্মপার্টির পাতায় পা রেখেই অনন্ত মহারাজ বুঝেছেন, এ মোটেই সহজ ঠাঁই নয়। পা হড়কে যাবেই যাবে। প্রতিশ্রুতি যা শোনা গিয়েছিল, তার সবটাই কথায় কথায়। কাগজে-কলমে কোনওটাই আসবে না। রাজবংশীদের জন্য আশ্বাস। বাস্তবায়িত হচ্ছে না। পৃথক রাজ্যের স্বপ্নও ধোঁয়া ধোঁয়া। ফলে অনন্ত মহারাজের ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক। সেটাই হচ্ছে। এখানেই ছাড়া সুতোটা গুটাতে শুরু করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং উদয়ন গুহ। রবিবাবু বেশ কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের সংগঠনটা কোচবিহার জেলায় ধরে রেখেছেন। আসন হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তারপরও হাল ছাড়েননি তিনি। শুধু অপেক্ষা করে গিয়েছেন। উদয়ন গুহ আবার একটু স্টেপ আউট করে খেলতে পছন্দ করেন। নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে ঠোকাঠুকি করেই তাঁর দিন গুজরান। কিন্তু সেটা যতটা কথায় কথায় হয়, ততই ভালো। হাত-পা চলাটা কোচবিহারবাসী পছন্দ করেন না। সেটা তাই উদয়নবাবুকে খানিক মাথায় রাখতে হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে কোচবিহার আসনটা বেশ আকর্ষক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। দু’পক্ষই মনে করছে, জেতাটা সময়ের অপেক্ষা। একটা ব্যাপার নিশ্চিত, দিনহাটা সহ দু’-তিনটি পুর এলাকা শেষ মুহূর্তে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যেই দিল্লি শিবিরের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূলও চেষ্টা চালাচ্ছে যাবতীয় ‘ড্যামেজ’ আটকানোর। এক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দলের প্রধান সুবিধার জায়গাটা হল স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লাগাতার কোচবিহারে সভা ও পদযাত্রা করে চলেছেন। বারবার তাঁর বক্তব্যে উঠে আসছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিজেপির অপশাসন, চা-বাগানের মানুষের জন্য জমির পাট্টার প্রসঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিণত রাজনীতিক। তিনি জানেন, একটি বিষয় মানুষকে বিশ্বাস করাতে গেলে বারবার বলে যেতে হবে। মানুষের মনে সেই ইস্যু দিয়ে আঘাত করতে হবে। আর সেটাই তিনি করছেন। জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে প্রত্যেক পদক্ষেপে পাশে রাখছেন তিনি। বোঝাচ্ছেন, বসুনিয়াকে ভোট দেওয়া মানে তাঁকেই দেওয়া। জগদীশবাবুর ইমেজও এলাকায় বেশ ভালো। ফলে ভোটারদের মনে সেটা রীতিমতো পজিটিভ প্রভাব ফেলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে হয়তো ডার্ক হর্স হিসেবেই নেমেছেন তিনি। কিন্তু ফারাকটা ঘুচিয়ে দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দলের কর্মীদের তো বটেই, নিজেকেও মমতা বলে দিয়েছেন... এই তিনটি আসনই তাঁর চাই।
তৃতীয় আসন, অর্থাৎ জলপাইগুড়ি। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, জয়ন্ত রায়কে এবার আর প্রার্থী করছে না বিজেপি। কারণ, দলের অন্দরের ক্ষোভ। বঙ্গ বিজেপির বেশ কয়েকটি অংশ থেকে জয়ন্তবাবুকে প্রার্থী করা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁর নামেই সিলমোহর দিয়েছেন দিল্লির নেতৃত্ব। ফলে প্রচার ও কর্মী-সমর্থনের নিরিখে প্রথমেই মাইনাস থেকে শুরু করতে হয়েছে তাঁকে। উল্টোদিকে তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায় রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ ভালো ক্যান্ডিডেট। সমাজে ইমেজ তাঁরও পরিষ্কার। ফলে এখানেও অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল। আর একটা ফ্যাক্টর এই জেলায় কাজ করছে। সেটা হল, বাম ভোট। বহু বছর পর বামফ্রন্টকে এই জেলায় অন্তত কিছুটা আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে। যদি নিজেদের ভোটব্যাঙ্কের বেশ খানিকটা তারা ফিরিয়ে আনতে পারে, সেটা বড় ড্যামেজ করবে বিজেপির। কারণ, সেক্ষেত্রে ভোট কাটাকাটিতে এগিয়ে যাবে তৃণমূল। তবে হ্যাঁ, বাম-কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক এবার অন্য দুটো জেলাতেও নজরে থাকবে। বামের ভোট রামে—এই তত্ত্ব শেষ দু’টি বড় ভোটের পর ফিকে হতে শুরু করেছে। সেটা যেমন তৃণমূলের কাছে আশার, নরেন্দ্র মোদির কাছে আশঙ্কার। তাই তিনিও আসছেন উত্তরবঙ্গে। সভা করছেন। কিন্তু সন্দেশখালি বা সিএএ ছাড়া প্রচারের ইস্যু পাচ্ছেন না। কারণ ওই এক... বলার কিছু নেই। বিজেপিও তাই উত্তরবঙ্গ জুড়ে তলায় তলায় এখন প্রচারে নেমেছে, ‘এটা তো মোদির ভোট। বড় ভোট।’ অর্থাৎ, দিল্লির ভোট মোদিকে দাও। রাজ্যের ভোট দিদিকে। আপাতত তো লোকসভাটা উতরে নেওয়া যাক! বিধানসভার কথা পরে ভাবা যাবে। 
মাস পয়লা পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরও কিন্তু এখন বিজেপির শিয়রে সংক্রান্তি। তারা জানে, উত্তরে ফল বিগড়ে গেলে দক্ষিণেও বড় ধস নামবে। ডাবল ইঞ্জিন হয়নি, সেক্ষেত্রে ডাবল ডিজিট হওয়াও মুশকিল হয়ে যাবে। সিএএ পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। যতটুকু চার্জ দিচ্ছে, রামমন্দির। কিন্তু সে দিয়ে তো আর ২১টা বিধানসভাকে কাবু করা যাবে না! তাই শেষ লগ্নের মরিয়া প্রচার চলছে, তৃণমূল জিতলে সব ক্ষীর কলকাতা খেয়ে নেবে। উত্তরবঙ্গের জন্য কিছু থাকবে না। সত্যিই কি তাই? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিন্তু বলার জন্য জমির পাট্টা থেকে চা-সুন্দরী, সবই আছে। নরেন্দ্র মোদির বলার মতো কিছু আছে তো? যা উত্তরবঙ্গের মানুষকে সরাসরি উপকৃত করেছে?
16th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
অপহরণের ১৪ দিনের মাথায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল এক হামাস জঙ্গি। বলেছিল, ‘সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তুমি এখানে আমার সঙ্গে থাকবে আজীবন। তুমিই আমার সন্তানদের ...

পুকুর খনন করতে গিয়ে অজানা জন্তুর হাড়গোড় উঠে আসতেই শুক্রবার চাঞ্চল্য ছড়ায় ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়তের বেলতলি ভাণ্ডানি গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, ওই হাড় পূর্ণবয়স্ক গণ্ডারের হতে পারে ...

ময়নার গোড়ামহালে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম দীনবন্ধু মিদ্যা(১৮)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ গোড়ামহাল গ্রামে একটি পান বরজের ভিতর থেকে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। ...

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠক বন্ধ করার নির্দেশ দিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। শুক্রবার দপ্তরের তরফে রেজিস্ট্রারকে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২৯ এপ্রিল বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: মুঘল সম্রাট বাবর দিল্লির সুলতানকে পরাজিত করেন
১৬৬৭: অন্ধ এবং দরিদ্র ইংরেজ কবি জন মিলটন তার প্যারাডাইজ লস্ট কাব্যের স্বত্ব ১০ পাউন্ডে বিক্রয় করেন
১৮৭৮: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নারীশিক্ষা দানের ব্যবস্থা করে ও নারীদের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসার সম্মতি প্রদান করে
১৮৮১: দাদাঠাকুর ওরফে শরচ্চন্দ্র পণ্ডিতের জন্ম
১৮৯৭: বাঙালি ঐতিহাসিক, ছন্দবিশারদ ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ প্রবোধচন্দ্র সেনের জন্ম
১৯১২ : ভারতীয় অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিচালক জোহরা সেহগলের জন্ম
১৯৩৫: বাঙালি ভূতত্ববিদ, বিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী প্রমথনাথ বসুর মৃত্যু  
১৯৩৬: ইংরেজি গণিতবিদ, জীববিজ্ঞানী ও দার্শনিক  কার্ল পিয়ারসনের মৃত্যু
১৯৬০: সাহিত্যিক রাজশেখর বসু ওরফে ‘পরশুরাম’-এর মৃত্যু
১৯৬২:  বাঙালি রাজনীতিবিদ এ. কে. ফজলুল হকের মৃত্যু
১৯৬৮: দাদাঠাকুর ওরফে শরচ্চন্দ্র পণ্ডিতের মৃত্যু
১৯৭২: অ্যাপোলো ১৬ মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরে আসে
১৯৮১: জেরক্স পার্ক বাজারে আনে কম্পিউটারের মাউস
১৯৮৯: বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে ৫০০ মানুষ নিহত হয়
১৯৯২: রাশিয়া ও অন্যান্য প্রজাতন্ত্রগুলো আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকে যোগ দেয়
১৯৯৩: ডাকারে যাওয়ার পথে লিবরেভিল্লেতে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান জাম্বিয়া জাতীয় ফুটবল দলের সমস্ত সদস্য
১৯৯৪: দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচনে প্রথম ভোট দেওয়ার সুযোগ পান কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরা
২০০৬: নিউ ইয়র্ক সিটিতে যেখানে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ছিল সেখানে ফ্রিডম টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়
২০০৯: ভারতীয় অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক ফিরোজ খানের মৃত্যু
২০১৭: অভিনেতা বিনোদ খান্নার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৮ টাকা ৮৪.২২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৬ টাকা ১০৫.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৩ টাকা ৯১.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪। তৃতীয়া ৭/৫০ দিবা ৮/১৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৫৮/১৩ রাত্রি ৪/২৮। সূর্যোদয় ৫/১০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/২৭ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১২ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে পুনঃ ২/১২ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৪/২৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে উদয়াবধি। 
১৪ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪। তৃতীয়া দিবা ৬/৪০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৩। সূর্যোদয় ৫/১১, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে ও ৪/২৩ গতে ৫/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/১১ মধ্যে। 
১৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থান ৭ উইকেটে হারাল লখনউকে

11:20:50 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি সঞ্জু স্যামসনের,রাজস্থান ১৭৮/৩(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ১৯৭

11:01:00 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১৪৪/৩ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৯৭

10:59:18 PM

আইপিএল: ১৪ রানে আউট রিয়ান পরাগ,রাজস্থান ৭৮/৩(৮.৪ ওভার), টার্গেট ১৯৭

10:27:57 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট জয়সওয়াল,রাজস্থান ৬০/২(৬.১ ওভার), টার্গেট ১৯৭

10:18:35 PM

আইপিএল: ৩৪ রানে আউট বাটলার,রাজস্থান ৬০/১ (৫.৫ ওভার), টার্গেট ১৯৭

10:11:30 PM