Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ কথাগুলি প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি এখন তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। নন্দকুমারের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে’কে তাঁর এই হুমকি। 
‘আমাকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। গঙ্গারামপুরে একজন ভাইবোনের গায়ে হাত পড়লে যে ক’দিন চেয়ারম্যান থাকবেন, তারচেয়ে বেশি দিন ইডি-সিবিআইয়ের হাতে থাকবেন।’ বক্তার নাম ডঃ সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ। এবারও তিনি একই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী। 
বিজেপির এই দুই প্রার্থীই উচ্চশিক্ষিত। সুকান্তবাবু কলেজের অধ্যাপক। মানুষ গড়ার কারিগর। তাই রাজনীতিতে যেমন তাঁর অনুগামী আছে, তেমনই আছে অনেক গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী। এহেন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং সম্মাননীয় ব্যক্তিরাও বিরোধীদের ‘হুমকি’ দিচ্ছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের কথা না শুনলে যেতে হবে তিহার জেলে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে বিজেপি নেতাদের কথাতেই চলে, সেটা সুকান্তবাবুরাই প্রমাণ করে দিচ্ছেন।
এই সব হুমকির উদ্দেশ্য বিরোধীদের চমকানোর পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করা। রাজনীতিতে এটা নতুন নয়। যুগ যুগ ধরে নানাভাবে বিরোধীপক্ষকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে, আগামীতেও হবে। তবে, বদলে যাচ্ছে হুমকি-ধমকির ধরন। আগে যা হতো গোপনে, এখন তা হচ্ছে প্রকাশ্যে। খুল্লামখুল্লা।
তপন সিংহের ‘আতঙ্ক’ সিনেমাটার কথা মনে আছে? বৃষ্টিভেজা রাতে ‘শিক্ষক’ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজের চোখে ছাত্রকে খুন করতে দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠেছিলেন। মাস্টারমশাইয়ের চোখেমুখে ঠিকরে পড়ছে আতঙ্ক। মাস্টারমশাই সব দেখে ফেলেছেন জানার পর ছাত্র ঠান্ডা মাথায় হুমকি দিয়ে বলেছিল, ‘আপনি কিন্তু কিছুই দেখেননি মাস্টারমশাই।’
সিনেমাটা তৈরি হয়েছিল বাম আমলে। এটাই ছিল তৎকালীন সামাজিক পরিস্থিতি। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অন্যায়, অত্যাচার মানুষ মুখবুজে মেনে নিত। বলা ভালো, মানতে বাধ্য করা হতো। রাজ্যের রাজনীতিও চলত সেই ছকেই। বিরোধীদের দমিয়ে দেওয়ার জন্য আঁটা হতো নিত্যনতুন ফন্দি। নেওয়া হতো এমন সব কৌশল যাতে বিরোধিতা করার ইচ্ছাটাই কর্পূরের মতো উবে যায়।
সিপিএমের ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়ার পিছনে ছিল বিরোধীদের দমিয়ে রাখার নানান ফর্মুলা। তবে ‘থান থিওরি’র ধারেকাছে কেউ ছিল না। রাতের অন্ধকারে বিরোধী দলের ডাকাবুকো নেতার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হতো থান কাপড়। সঙ্গে ছোট্ট চিরকুট, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করো না।’ ইঙ্গিত স্পষ্ট, রাজনীতি নিয়ে মাতামাতি করলে স্ত্রীকে হতে হবে বিধবা। এভাবেই লড়াকু বিরোধী নেতার পায়ে ‘বেড়ি’ পরানোর দায়িত্বটা দেওয়া হতো বাড়ির মহিলাদের উপরেই। আতঙ্কটা পৌঁছে যেত একেবারে বাড়ির অন্দরে। মূলত সিপিএমের এই থিওরিতেই বাংলায় নেমে এসেছিল শ্মশানের শান্তি। 
তবে গ্রামবাংলাকে মুক্তাঞ্চল বানানোয় সিপিএমের সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্রটির নাম ছিল ‘খেতমজুর বয়কট’। কেউ মাথা তোলার চেষ্টা করলেই জারি হতো ‘খেতমজুর বয়কটে’র হুলিয়া। মাঠের পাকাধান মাঠেই পড়ে থাকত, খামার পর্যন্ত পৌঁছত না। পার্টি অফিসে গিয়ে মুচলেকা দিয়ে তুলতে হতো বয়কটের ফতোয়া। তারপরও কেউ ‘বেয়াদপি’ করলে ধোপা-নাপিত বন্ধ। পাড়ার লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ। যার নাম ছিল ‘সামাজিক বয়কট’। আর তা তোলার জন্য দিতে হতো মোটা অঙ্কের জরিমানা। 
রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু বিরোধীপক্ষকে দমিয়ে রাখার মানসিকতা বদলায়নি। কর্তৃত্ব কায়েমের জন্য কোনও তৃণমূল নেতা দিয়েছে সিপিএমের সঙ্গে সাপের মতো আচরণ করার নির্দেশ। আবার কেউ দিয়েছে অনুষ্ঠান বাড়িতে সিপিএমের লোকজনকে নিমন্ত্রণ না করার পরামর্শ। পুলিসকে বোমা মারার হুমকি দিয়ে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে বিখ্যাত হয়েছিল তাঁর ‘গাঁজা কেস’। অবশ্য খেলা জমিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তারা দেখিয়ে দিচ্ছে ক্ষমতায় থাকলে বিরোধীদের কতভাবে হেনস্তা করা যায়!
তৃণমূলের নেতারা ‘বাঘ’ মেরেছে মুখে। আর বিজেপি সেটা কাজে করে দেখাচ্ছে। ক্ষমতা দখলের পথে ‘কাঁটা’ হলেই তা উপড়ে ফেলার জন্য চলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বারবার ডেকে বুঝিয়ে দিচ্ছে, হয় আত্মসমর্পণ, না হয় জেল। হাতেগরম উদাহরণ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই তালিকায় নাকি রয়েছে আরও নাম। অনেকেই ভেবেছিলেন, নির্বাচন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ধরপাকড়, হয়রানি। কারণ সবই চলে যাবে কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তখন আর কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এজেন্সি দাপাদাপি করতে পারবে না। কিন্তু হচ্ছে উল্টো। দিন দিন বেড়েই চলেছে। কমিশনও কিছু করতে পারছে না। কারণ আইনে নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণের সুস্পষ্ট গাইড লাইন নেই। থাকবেই বা কী করে? এমন অভূতপূর্ব ঘটনা আগে ঘটেনি। 
বিজেপি ক্ষমতায় ফেরার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে নির্লজ্জভাবে কাজে লাগাচ্ছে। বেছে বেছে বিরোধী দলের পোড়খাওয়া নেতাদের টার্গেট করছে। প্রথমে তাঁদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত করছে। তারপরই পৌঁছে যাচ্ছে এজেন্সির হাজিরা নোটিস। আর তাতেই 
হচ্ছে বাজিমাত। জেলযাত্রা এড়াতে অধিকাংশই আত্মসমর্পণ করছে। মাথা নোয়ালেই ‘ওয়াশিং মেশিনে’ ধুয়ে যাচ্ছে ময়লা। দুর্নীতিতে অভিযুক্তরাই হয়ে যাচ্ছে বিজেপির ‘সম্পদ’।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, দেশে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিরোধী দলের ২৫জন নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারমধ্যে ২৩ জনই আপাতত ‘কলঙ্কমুক্ত’। বিজেপিতে যোগ দিলেই সাত খুন মাফ, এটাই বিরোধীদের অভিযোগ। সেই অভিযোগ খণ্ডন না 
করে বিজেপি তাকে ‘প্রোমোট’ করছে। কারণ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিরোধী দলের নেতারাই বিজেপির হালটা শক্ত করে ধরছে। তাতে নরেন্দ্র মোদির ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়াই শিকেয় উঠলেও তাঁর হ্যাটট্রিকের রাস্তা হবে মসৃণ। 
ভোটের মুখে কেজরিওয়ালকে জেলে পাঠানোর পিছনেও রয়েছে সেই অঙ্ক। কিন্তু অনেকেই বলছেন, কেজরিওয়ালকে জেলে পাঠিয়ে বিজেপির লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয়েছে বেশি। কেজরিওয়াল জেলে গেলেও আম আদমি পার্টিতে ভাঙন ধরেনি। তাই মোটা টাকার টোপ দেওয়ার পাশাপাশি চলছে ধমকি, হুমকি। বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বিজেপিতে যোগ  না দিলে যেতে হবে জেলে। 
দিল্লি বিজেপির এই হুমকি-কালচার দ্রুত রপ্ত করে ফেলেছেন সুকান্ত মজুমদার, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়রা। রাজনীতির বাইরেও তাঁদের পেশাগত একটা পরিচয় আছে। সেই সূত্রে অনেকেই তাঁদের সম্মান করেন। কিন্তু তাঁরা যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে সেই সম্মানের ভিত ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি তাঁরাও জানেন। তা সত্ত্বেও তাঁরা ‘রকের ভাষায়’ হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু কেন? 
পঞ্চায়েত ভোটে গাইঘাটার আংরাইলে গিয়ে বিজেপির বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেছিলেন, ‘শাসক দলের সেসব নেতা পুলিস দিয়ে মানুষকে চমকাচ্ছে, মিথ্যে কেস দেওয়াচ্ছে তাদের বলে দিতে চাই, আগামী দিনে এই পুলিস দিয়েই তাদের এনকাউন্টার করাব।’ তাঁর এই হুমকিতে বিতর্ক হয়েছিল বিস্তর। কিন্তু দল স্বপনবাবুকে সতর্ক করেনি, উল্টে তিনি পুরস্কৃত হলেন। এবার তিনিই বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব এভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে, তৃণমূলকে যে যত হুমকি দেবে, দলে তার স্কোর তত বাড়বে।
এতদিন বলা হচ্ছিল, সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার, কেড়ে নেওয়ার নয়। কিন্তু বিদায়ী কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের গলায় এখন অন্য কথা। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যারা তৃণমূল করে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।’ এক্ষেত্রে প্রথমে ঝোলানো হয়েছিল ‘গাজর’। তাতে কাজ না হওয়ায় এখন দেওয়া হচ্ছে হুমকি। একেই কি বলে, বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি!
বিজেপিতে শুরু হয়েছে ‘বেলাগাম’ হওয়ার প্রতিযোগিতা। যাঁর আক্রমণ যত তীক্ষ্ণ দিল্লিতে তাঁর কদর তত বেশি। সেই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, 
অধ্যাপক সুকান্ত মজমুদাররাও। অধ্যাপকের মুখে সিনেমার ভিলেনের ভাষা শুনে অনেকেই বিস্মিত হচ্ছেন। কিন্তু প্রাক্তন বিচারপতির হুমকিতে অবাক হননি কেউই। কারণ এজলাসে বসেই তিনি দিয়েছিলেন ‘ঢাকি সহ বিসর্জনে’র হুমকি। সেই জন্যই বোধহয় ‘বামপন্থায় বিশ্বাসী’ অভিজিৎবাবু দ্রুত মিশে গেলেন ‘গেরুয়া কালচারে’।
06th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

আকাশপথে ইউক্রেনে হামলা চালাল রাশিয়া। এবার বেলারুশ সীমান্তবর্তী চেরনিহিভ শহরের একটি আটতলা ভবনকে নিশানা করে মিসাইল ছোড়ে পুতিনের দেশ। এই হামলায় ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM