কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কলকাতার গুড়ের আড়ত হিসেবে জনপ্রিয় শোভাবাজার। বহু পুরনো এই আড়ত থেকে পাইকারি হারে গুড় বিক্রি হয়। এখানকার প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান শ্রীমন্ত গুড়ের আড়তের কর্ণধার তন্ময় বেরার কথায়, ‘ভালো জাতের ঝোলা বা পাতলা গুড় আসতে শুরু করেছে মাজদিয়া ও নদীয়া থেকে। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে যে গুড় আসছে তার স্বাদ-গন্ধ যেমন আলাদা তেমন কদরও বেশি। গত কয়েক বছরে যে পরিমাণ গুড় বিক্রি হয়েছে, এবার তার চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি।’ এই সংস্থার গুড় বরাবরই ভিন দেশ ও রাজ্যে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। তন্ময়বাবুর কথায়, ‘এবার অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি পুনে, বেঙ্গালুরু, নাসিক সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। মিষ্টির দোকানগুলি তাদের খাবারের গুণমান ধরে রাখতে ভালো মানের গুড় চাইছে। গতবারের তুলনায় এবার চারশো নতুন দোকান আমাদের অর্ডার দিয়েছে।’ তিনি জানান, পাটালি ও চিনি ছাড়া তরল গুড়ের চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। গুড় ভালো রাখতে টিনের কন্টেনার সরিয়ে ভালো জাতের প্লাস্টিক ব্যবহার করার ফলে গুণমান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে। খেজুর গুড় যত টাটকা হয় তত স্বাদ-গন্ধ তত ভালো থাকে। এবার চাহিদা বেশি বলে স্টক থাকছে না। উচ্চমানের গুড় পেয়ে খুশি ক্রেতারা। এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্ণধার অঙ্কিতা বেরার কথায়, ‘আমরা এবার অনলাইন বুকিংয়েও রাজ্যের বাইরে থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছি। আমরা অনলাইনে জয়নগরের মোয়াও বিক্রি করছি। চাহিদা ভালো।’ জয়নগরের মোয়ার বিদেশে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে এবছর নলেন এবং পাটালি গুড় নেওয়ার চাহিদাও বিদেশে রয়েছে। ইউরোপের দেশগুলির পাশাপাশি আমেরিকা, কানাডাতে এখনও পর্যন্ত জয়নগর থেকে প্রায় ১০০ কেজি গুড় রপ্তানি হয়েছে। মোয়া ও গুড় প্রস্তুতকারী খোকন দাস বলেন, ‘পাটালি ও মোয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কানাডা, দুবাই, সিঙ্গাপুরে গিয়েছে। ওই দেশগুলির কিছু বাঙালি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তা পাঠানো হয়েছে । এখনও পর্যন্ত ৭৮০ কিলো মোয়া ও ৭০০ কেজি পাটালি গিয়েছে বিভিন্ন দেশে।’ নামকরা মোয়া প্রস্তুতকারক রঞ্জিত ঘোষ এবং বাবলু ঘোষ বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে প্রায় কুড়ি হাজার মোয়া বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। গুড়ের চাহিদাও আছে। এখনও পর্যন্ত ১০০ কেজি গুড় বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।’