মাদ্রিদ: তাঁর কোচিংয়ে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালে আরও একবার দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের কাহিনি লিখল কার্লো আনসেলোত্তি-ব্রিগেড। বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার পথে এক অনন্য নজিরও গড়লেন অভিজ্ঞ ইতালিয়ান প্রশিক্ষক। প্রথম কোচ হিসেবে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পৌঁছনোর রেকর্ড গড়লেন তিনি। তাঁর অধীনে এসি মিলান (২০০৩, ২০০৫, ২০০৭) ও রিয়াল (২০১৪, ২০২২, ২০২৪) তিনবার করে খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট অর্জন করে। বুধবার অবশ্য একটা সময় মনে হয়েছিল, শেষ চারেই থমকে যাবে রিয়ালের দৌড়। সেখান থেকে দুরন্ত চালে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন আনসেলোত্তি। পরিবর্ত হিসেবে তিনি মাঠে নামিয়ে ছিলেন হোসেলুকে। আর তাতেই বাজিমাত। জোড়া গোলে দলকে ফাইনালের টিকিট এনে দেন তরুণ ফরোয়ার্ড। সাংবাদিকদের সামনে কোচ আনসেলোত্তি বলেন, ‘পিছিয়ে পড়লেও ছেলেরা বিশ্বাস হারায়নি। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে অনেক আগেই এগিয়ে যেতে পারতাম আমরা। তবে শেষ মিনিট পর্যন্ত ফুটবলাররা লড়াই চালিয়েছে। একই সঙ্গে সমর্থকদের প্রশংসা করতে হবে। গোটা ম্যাচে যেভাবে তারা সমর্থন জুগিয়েছে, তা সত্যিই অনবদ্য।’
এদিকে, ম্যাচ হেরে রেফারিকে এক হাত নিলেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ টমাস টুচেল। তাঁর কথায়, ‘রেফারির ভুলে আজ আমাদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রীতিমতো কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তার মধ্যেও ছেলেরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ওদের লড়াইয়ে আমি গর্বিত।’ ম্যাচের সংযোজিত সময়ে ডি লিটের গোল বাতিল নিয়ে রিয়ালকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বায়ার্নের অভিজ্ঞ ফুটবলার টমাস মুলার। বললেন, ‘হাতে বিকল্প থাকা সত্ত্বেও রেফারি ভারের সাহায্য নেয়নি। এমন পরিস্থিতি খুবই অদ্ভুত। অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত। তাছাড়া শেষ বাঁশি বাজানোর আগে তিন মিটার দৌড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। রেফারি তা করেননি। জানি না, আসলে কী ঘটেছে। দুঃখজনকভাবে মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়। ২০১৭ সালেও আমাদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছিল।’ দলের আর এক ফুটবলার ডি লিট জানান, ‘ম্যাচ শেষে সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি মেনে নিয়েছেন, অফ সাইডের পতাকা তোলা ভুল ছিল। তবে এখন আর আপশোস করে লাভ কী!’