সঞ্জয় সরকার, কলকাতা: তিনি মুম্বই সিটি এফসি রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ। তবে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক বহুদিনের। গত এক দশকে তিন দফায় খেলে গিয়েছেন ফুটবলের মক্কায়। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারির চাপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হোসে লুইস এস্পিনোসা আরোয়ো। ভারতীয় ফুটবলে পরিচিত তিরি নামে। গত মরশুমে মোহন বাগানের খেতাব জয়ী দলের অন্যতম সদস্য। এবার লিগ-শিল্ডের লড়াইয়ে প্রাক্তন দলের কাছেই হারের স্বাদ চাখতে হয়েছে তাঁকে। তবে সেই হতাশা ভুলে শনিবার খেতাব জিততে মরিয়া তিরি। মহাম্যাচের আগে বর্তমানের একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। 
প্রশ্ন: অতীতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। শনিবার ফাইনালে জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
তিরি: প্রত্যেক ফুটবলার জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামে। আমরাও সেই পথের পথিক। সবথেকে বড় কথা, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যাবতীয় রসদই আমাদের দলে রয়েছে।
প্রশ্ন: লিগ-শিল্ডের খেতাবি লড়াইয়ে যুবভারতী ভরিয়ে দিয়েছিলেন মোহন বাগান অনুরাগীরা। লিস্টনদের দুরন্ত পারফরম্যান্স এবং গ্যালারি থেকে ভেসে আসা প্রবল শব্দব্রহ্মের কাছে হার মানে মুম্বই। তাই শনিবারের ম্যাচ কি আপনাদের কাছে প্রতিশোধের লড়াই?
তিরি: দর্শকঠাসা স্টেডিয়ামে খেলাটা সবসময় একজন খেলোয়াড়কে উজ্জীবিত করে। আর আমরা কোনও প্রতিশোধের কথা ভেবে মাঠে নামি না। শনিবার লক্ষ্য থাকবে, নিজেদের ২০০ শতাংশ উজাড় করে দিয়ে দলকে ট্রফি জেতানো।
প্রশ্ন: কার্ড সমস্যায় ফন নিফের না থাকাটা মুম্বইয়ের জন্য কতটা ধাক্কা?
তিরি: অবশ্যই বড় ক্ষতি। তবে কোচ সবসময় বলে থাকেন, দলের প্রতিটি ফুটবলার সমান গুরুত্বপূর্ণ।  বাকিরা ওর অভাব মেটাতে তৈরি।
প্রশ্ন: এই মোহন বাগান দলের আপফ্রন্টে কোন ফুটবলার আপনাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে?
তিরি: মোহন বাগান আক্রমণভাগ কতটা শক্তিশালী, তা সকলের জানা। তবে তার মধ্যেও দিমিত্রিকে বিশেষ নজরে রাখতে হবে। ও একাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে।
প্রশ্ন: হাবাসের প্রশিক্ষণে আপনি বহু ম্যাচ খেলেছেন। ডাগ-আউটে তাঁর উপস্থিতি কি পার্থক্য গড়ে দেয়?
তিরি: হাবাসের হাত ধরেই আমার ভারতে আসা। কোচ হিসেবে ওঁর উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। 
প্রশ্ন: সবুজ-মেরুন জার্সিতে আপনার অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে। তবে গত মরশুমে চোট সারিয়ে দলে ফেরার পরও দল আপনাকে রাখেনি। তাই ব্যক্তিগতভাবে শনিবারের ম্যাচটা আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
তিরি: অতীত নিয়ে আমি খুব একটা ভাবি না। তবে হ্যাঁ, চোট সারিয়ে প্রায় এক বছর পর মাঠে ফেরাটা সহজ ছিল না। মুম্বই আমায় সেই সুযোগ দিয়েছে। ফাইনালে ট্রফি জিতে তার প্রতিদান দিতে চাই।