রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তিন বছর আগে হাবাসের কোচিংয়েই আইএসএল লিগ-শিল্ড জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় মোহন বাগানের। পয়েন্ট এক থাকা সত্ত্বেও ‘হেড টু হেডে’র নিরিখে সেবার একরাশ আপশোস আর হতাশার মধ্যেই মাঠ ছেড়েছিলেন মনবীররা। সোমবার যুবভারতীতে সেই রাতের মধুর প্রতিশোধ নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসি’কে হারিয়ে খেতাব ঘরে তুললেন দিমিত্রি-লিস্টনরা। আর দলের এই জয়ের সওদাগর আর কেউ নন, স্বয়ং কোচ হাবাস। লিগের শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে জিতে মুম্বইকে পিছনে ফেলে প্রথমবারের জন্য লিগ-শিল্ড খেতাব ঘরে তুলল গঙ্গাপাড়ের ক্লাবটি। আর দলের সাফল্যের যাবতীয় কৃতিত্ব ফুটবলারদের দিলেন কোচ হাবাস। তাই তো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সকলকে এগিয়ে দিয়ে সবুজ-মেরুন কোচ রইলেন পিছনের সারিতে।
প্রিয় দলের হয়ে গলা ফাটাতে এদিন অনেক আগে থেকেই যুবভারতী ভরিয়ে তোলে সবুজ-মেরুন অনুরাগীরা। ড্রাম, তাসা, টিফোর মাধ্যমে গ্যালারি মাতিয়ে রাখেন তারা। মাঠে প্রতিপক্ষকে সব বিভাগেই টেক্কা দিলেন দিমিত্রিরা। বুঝিয়ে দিলেন, ভারতীয় ফুটবলে তাঁরাই সেরা। তাই ম্যাচ শেষের দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশন চলল অনুরাগীদের। সবুজ-মেরুন আবির আর হাতে প্রিয় দলের পতাকা হাতে ‘ইউ আর চ্যাম্পিয়ন’ স্লোগানে মুখরিত মোহন জনতা।
সোমবারের আগে পর্যন্ত আইএসএলের মঞ্চে মুম্বইকে কখনও হারাতে পারেনি মোহন বাগান। এদিন সেই পরিসংখ্যানেও বদল আনলেন কামিংসরা। মরশুমের দ্বিতীয় ট্রফি জয়ের পর অজি স্ট্রাইকার বলেন, ‘এই জয় গোটা দলের। আজ জয় ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না আমাদের সামনে।’ সোমবার দিমিত্রিদের উৎসাহ জোগাতে ভিআইপি বক্সে হাজির ছিলেন লোকেশ রাহুল। ম্যাচ শেষে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়েন তিনি।