বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী লিড পেয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে আবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিল। তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট যেমন আছে, তেমনই আছে মতুয়া ভোট। এই কেন্দ্র মিশ্রিত ভোটারের কেন্দ্র। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যালঘু এলাকায় ভালো ভোট পেয়েছে সিপিএম, কংগ্রেস। আবার মতুয়া এলাকায় ভোট পেয়েছে বিজেপি। এবার লোকসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোট যদি সিপিএমে যায়, তবে এই কেন্দ্রে তৃণমূল অসুবিধায় পড়বে। সেক্ষেত্রে বিজেপি অনেকটা এগিয়ে থাকবে। যদিও এই ভোট কাটাকাটির কথা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা উন্নয়ন করেছেন তাতে ভোট কাটাকাটি হবে না। সবাই উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলকে ভোট দেবে। এমনকী এই এলাকা কৃষি প্রধান। মানুষ একশো দিনের কাজ করে টাকা পায়নি। যে টাকা রাজ্য সরকার প্রত্যেক জব কার্ড হোল্ডারের ব্যাঙ্কে পাঠিয়েছে। এছাড়া আরও নানা রকম সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছে তাই ভোট ভাগাভাগির কোনও সম্ভবনা নেই। বিজেপির দাবি, সংখ্যালঘু ভোট এবার বামে কিছুটা গেলেই এই বিধানসভা থেকে আমাদের লিড নিশ্চিত। সিপিএমের দাবি, দুই দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মানুষ আমাদের বেছে নেবেন।
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন এক করলে হবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের দলের কিছু ভুল ছিল। সেই কারণে সিপিএম ভোট পেয়েছে। এই নির্বাচনে আর সেই সমস্যা নেই। তাই আমাদের প্রার্থী অনেক বেশি ভোটে লিড নেবে। ভোট কাটাকাটির কোনও কারণ নেই।