পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাট চাষের ক্ষেত্রে এই মুহুর্তে সেচের প্রয়োজন রয়েছে। অন্তত যতদিন না পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জেলার পাট চাষি থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় শ্যালো টিউবওয়েল আছে। সেগুলি ব্যবহার করার পরামর্শ পাট চাষিদের দিচ্ছে জেলা কৃষি দপ্তর।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় গত বছর ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। এবছর মাত্র ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
জেলা কৃষি দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পাট ওঠে। এখন সেপ্টেম্বরের আগে আর পর্যাপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে না। যার ফলে জুলাই-আগষ্ট মাসে যখন পাট উঠছে তখন পচানোর জন্য প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। কৃত্রিমভাবে বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর সম্পর্কে চাষিরা এখনও খুব একটা অবগত হননি। তাছাড়া তাঁরা চিরাচরিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে পাট পচাতে চাইছে না।
সফিকুল আরও বলেন, বিকল্প পাট পচানোর প্রক্রিয়ার একটি সরকারি প্রকল্প এসেছে। ভোটের জন্য এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া যায়নি। একটা চৌবাচ্চা তৈরি করে অল্প জল দিয়ে বা মাঠের মধ্যেই ছোট একটা পুকুর কেটে সেখানেই মাইক্রোবিয়াল কালচার দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে পাট পচিয়ে দেওয়া যায়। এর জন্য খরচও একটা আছে।
উত্তর দিনাজপুর একটি কৃষিপ্রধান জেলা। পাট এখানকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফসল। এই চাষের ওপর জেলার কয়েক হাজার চাষি নির্ভরশীল। জেলার এক পাটচাষি মনিরুল হক বলেন, আগে জুন মাস থেকে বৃষ্টি শুরু হত। জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে পাটা কাটা হয়ে গেলে জলের অভাব হত না। এখন অনেক দেরিতে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পাটের ফলন ভালো হলেও পচাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে। বাধ্য হয়ে এবার ভুট্টা চাষ করছি।