সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ির গ্রামীণ এলাকার ভোট কোনদিকে, সেই হিসেব কষছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের হাতে থাকা তিনটি  পঞ্চায়েত নিয়ে এখন জোর চর্চা। এরমধ্যে একটি  পঞ্চায়েত বিজেপির শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ারকে হাতিয়ার করে বড়সড় লিডের প্রত্যাশায় তৃণমূল। ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের মধ্যে দু’টি পঞ্চায়েত তথা গধেয়ারকুঠি এবং গাদং-২ পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। সাঁকোয়াঝোড়া-২  পঞ্চায়েত বিজেপির সমর্থনে সিপিএমের দখলে। এরমধ্যে গাদং-২ পঞ্চায়েতের ২০টি আসনের মধ্যে বিজেপি দখলে ১২টি আসন, তৃণমূলের ৪টি এবং সিপিএমের দখলে রয়েছে ২টি আসন।‌ এই তিনটি পঞ্চায়েতের সবক’টি একসময় তৃণমূলের দখলে থাকলেও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করে। সেই নিরিখে লোকসভা নির্বাচনেও ভালো ফলের আশায় তারা। 
বিরোধীদের দখলে থাকা তিনটি পঞ্চায়েতে লিড মিললে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে পুরস্কৃত করার কথাও জানিয়েছিল দল। সেজন্য এবারের নির্বাচনে শুরু থেকে সমস্ত পঞ্চায়েতে জোরকদমে প্রচার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। নাওয়াখাওয়া ভুলে সমস্ত এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে প্রচার করেছে তারা। তাই বিজেপি ও সিপিএমের হাতে থাকা এই পঞ্চায়েত আসনগুলিতে লিডের আশা করছে তৃণমূল। যদিও বিজেপি দাবি, এই তিনটি পঞ্চায়েত সহ বেশিরভাগ পঞ্চায়েতে তাদের পক্ষে ভোট পড়েছে। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা ওবিসি মোর্চার জেলা সভাপতি মানিক দেবনাথ বলেন, আমরা গাদং-২ পঞ্চায়েতে ভালো ফল করব। এছাড়াও ধূপগুড়ি থেকে আমাদের প্রার্থী এগিয়ে থাকবেন। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দীপু রায় তা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ধূপগুড়ি থেকে প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূল যে বিপুল অঙ্কের ভোটে লিড পেতে চলছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।