পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
ভূমিপুত্র তো একজন নন? ভোটটা কাকে দিলেন? হাসিমুখে মায়ার উত্তর, নির্দল ভূমিপুত্রদের ভোট দিয়ে লাভ নেই। বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মাকেও নয়। তাহলেই বুঝে নিন! ভোট দিয়ে ভিড় ঠেলে বুথ থেকে বেরিয়ে মায়ার প্রতিবেশী অনামিকা ছেত্রীও বলেন, কিচ্ছু করেননি বিজেপি বিধায়ক। তাই এবার আর বিজেপি নয়। দু’জনেরই দাবি, এবার আমরা প্রকৃত ভূমিপুত্র গোপাল স্যারকে চাই। মুখ্যমন্ত্রীও অনেক করেছেন আমাদের জন্য। কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। সব সুবিধাই পাচ্ছি।
কার্শিয়াং শহরের রাজ রাজেশ্বরী হলে জোড়া বুথে অবশ্য ভিড় উধাও। বেলা ১২টায় ভিড় না হওয়ারই কথা। পোলিং অফিসারদের কাছ থেকে জানা গেল, দু’টি বুথে অর্ধেক ভোট হয়ে গিয়েছে। বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে হেঁটে উপরে (মাথি) যাবেন কৃতি তামাং। সামনে সাংবাদিক দেখে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বললেন, ১৫টি বছর নষ্ট করেছি আমরা। বিজেপির কোনও সাংসদ কিছু কাজ করেননি। এবার আর ভুল করতে চাইনি। তাঁর কথার প্রমাণ পাওয়া গেল বুথের বাইরের পরিস্থিতি দেখে। বুথের উপরে ও নীচের রাস্তার দু’দিকেই চেয়ার-টেবিল পেতে বসে অনীত থাপার অনুগামীরা। বিজেপির কেউই ভোটকেন্দ্রের পাশে অস্থায়ী ক্যাম্প বসাতে পারেননি। কার্শিয়াং শহরের সিংহভাগ বুথের বাইরে একই ছবি। কার্শিয়াং মহকুমা সেচদপ্তরের একটি ঘরে ভোটকেন্দ্রে উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিলেন মানুষ। বেলা ১টাতেও ছাতা হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে। তবে ঠান্ডা আবহাওয়া উধাও ‘সাদা অর্কিডের দেশে’। লাইনে দাঁড়িয়ে বারবার রুমাল বের করে মাথার ঘাম মুছছিলেন অঞ্জলি সিং। ভোট নিয়ে চিন্তা হচ্ছে? হেসে প্রশ্নটা উড়িয়ে বললেন, কোনও চিন্তা নেই। এবার আমরা নিশ্চিত, দার্জিলিং কেন্দ্রে গোপাল স্যারই জিতছেন। কার্শিয়াংয়ের বাসিন্দা তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী শীলা রাইয়ের কথায়, পাহাড়ের মানুষ এখন অনেক সচেতন। নির্দল প্রার্থী বিষ্ণুপ্রসাদ হোন কিংবা বিজেপি প্রার্থী রাজু, কাউকে ভোট দিয়ে আশাহত হতে চাইছেন না।