বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি করে বাংলার মহিলাদের মন জয় করতে মরিয়া তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীও বিভিন্ন জনসভায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা বলছেন।
রাজনৈতিক মহলও বলছে, এই ভোটে তৃণমূলের অস্ত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এবারে সেই লক্ষ্মীদের নির্বাচনী প্রচারে সামনের সারিতে রেখে বুথে বুথে প্রচার, মিটিং, মিছিল শুরু করেছে ইটাহার ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন ইটাহার ব্লকের দুর্গাপুর, পতিরাজপুর, দুর্লভপুর অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে গাছতলায় ত্রিপল পেতে জোর প্রচার চালাচ্ছেন দলের নেত্রীরা। তাঁরা গ্রামের মহিলা, বধূদের একত্রিত করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত করছেন। পাশাপাশি ছাত্রী ও মহিলাদের জন্য চালু হওয়া সরকারি প্রকল্প কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর কার্যকারিতা তুলে ধরছেন।
পূর্ব ঘোষণা মতোই ১ এপ্রিল থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। তফসিলি জাতি ও উপজাতি মহিলারা ১২০০ টাকা ভাতা পাচ্ছেন। বাকিরা ১০০০ টাকা পাচ্ছেন। ভোটের আগে এই প্রকল্পের ফসল ঘরে তুলতে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। সেই মতো এই প্রকল্পের সুবিধে পাওয়া মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছে জোড়াফুল।
এদিন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভানেত্রী পূজা জানান, প্রত্যেক বাড়ির মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। মহিলাদের বৈঠকে এনে তাঁদের বোঝানো হচ্ছে। তাঁরা বাড়িতে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সহ অন্য সদস্য এবং প্রতিবেশীদের বোঝাচ্ছেন।
যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূল মহিলাদের ভুল বোঝাচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সম্পাদিকা সবিতা বর্মনের কথায়, এই রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নয়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দোহাই দিয়ে লোকসভার বৈতরণী পার হওয়া যাবে না।