রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব হার্ট ফেলিওর’। কালজয়ী এই গবেষণার অন্যতম অংশ অধ্যাপক প্রদীপ ঝুন্ড। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ডিওলজি এবং এপিডিমিওলজি পড়ান প্রদীপ। এইকাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ডিওভাস্কুলার মেডিসেনের অধ্যাপক তথা কনসালট্যান্ট কার্ডিওলজিস্ট নিল হেরিং।
শরীরে রক্ত চলাচাল নিশ্চিত করে হার্ট। কোনও কারণে তা না হলেই হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর জেরে কমে যায় আয়ু। বর্তমানে এই কঠিন রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। গবেষণায় বলা হয়েছে, বি-টাইপ নাট্রিউরেটিক পেপটাইড (বিএনপি) হর্মোনের পাশাপাশি নিউরোপেপটাইড ওয়াই (এনপিওয়াই) প্রোটিনের পরিমাণ মেপে দেখা দরকার। এমনটা করলেই হার্ট ফেলিওর রোগীদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। বোঝা যাবে এক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি কার সবথেকে বেশি। বর্তমানে, হার্ট ফেলিওরের পরীক্ষায়মূলত বিএনপির পরিমাণ মেপে দেখা হয়।
এবিষয় অধ্যাপক ঝুন্ড বলেন, ‘উন্নত চিকিৎসা সত্ত্বেও হার্ট ফেলিওরে রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। রক্তে এনপিওয়াইয়ের পরিমাণ খতিয়ে দেখলে কোন রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি তা বোঝা যাবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই পরীক্ষার সাহায্যে সঠিক সময় উন্নত চিকিৎসা পাবেন নির্দিষ্ট রোগী।’
কি এই এনপিওয়াই? অত্যধিক চাপের সময় এই প্রোটিন তৈরি করে হার্টের স্নায়ু। এর জেরে ব্যাহত হয় হার্টের স্বাভাবিক ছন্দ। এই পরিস্থিতিতে হার্টের পেশির অতি ক্ষুদ্র রক্তণালী সংকুচিত হয়ে যায়। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত পৌঁছয় না। এর কারণে ধীরে ধীরে সরু হতে হার্টের দিকে যাওয়া রক্তণালী।
সম্প্রতি করা এই পরীক্ষায় বিভিন্ন পর্যায়ের হার্ট ফেলিওর রোগীদের খতিয়ে দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল ৮০০-র বেশি। রক্তচাপ পরীক্ষা এবং ইকোকার্ডিওগ্রামের পাশাপাশি রোগীদের শরীরে বিএনপির পরিমাণও খতিয়ে দেখা হয়। এবিষয় ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের চিফ সাইন্টিফিক অ্যান্ড মেডিক্যাল অফিসার অধ্যাপক ব্রায়ান উইলিয়ামস বলেন, ‘হার্ট ফেলিওর হলে কোন রোগীর আগে মৃত্যু হবে? কম খরচে সহজ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তা বোঝা সম্ভব। এই গবেষণা আমাদের সেই পথ দেখিয়েছে।’