গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
অন্যদিকে, গিরিরাজের টানা দু’বার এবং তাঁর দলের সামনে হ্যাটট্রিকের হাতছানি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কাঁটা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে দলের অন্দরের অসন্তোষ। সেইসঙ্গে শরিক জেডিইউর সঙ্গে টানাপোড়েনও। কিন্তু হিন্দুত্বের এই ফায়ার ব্র্যান্ড নেতা এসব কিছুকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে নারাজ। রামমন্দির আবেগকে কাজে লাগিয়ে এবারেও আস্তিন থেকে মেরুকরণের তাস খেলেছেন তিনি। এবারও গিরিরাজ বলেছেন, ‘এখানে কোনও লড়াই নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর মানুষের আস্থা অটুট।’ মুখে এমন বললেও এবার প্রতিপক্ষের সঙ্গে সরাসরি লড়াই গেরুয়া শিবিরের চিন্তা বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গাদকারি সভা করে গিয়েছেন এখানে। এসেছিলেন জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও।
শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী অবধেশও। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের গণিতও জোটের ভরসা বাড়িয়েছে। এখানকার সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে দু’টি করে আসনে জয়ী হয়েছিল সিপিআই ও আরজেডি। আর বিজেপি-জেডিইউ জোট পেয়েছিল তিনটি আসন। প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন প্রসাদ সিং এবার সিপিআইয়ের প্রচারের দায়িত্বে। তিনি বলছেন, এবারের লড়াই ‘ধনবলে’র সঙ্গে ‘জনবলে’র। মানুষ এবার হিন্দুত্বের প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। মৌলিক চাহিদা পূরণই তাঁদের চাহিদা।
এবার এখানে ‘হিন্দুত্ব বনাম মুদ্দা’র লড়াই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দিনাকর লিখেছিলেন- ‘দেবতা কহিঁ সড়কোঁ পর গিট্টি তোড় রহে/ দেবতা মিলেঙ্গে খেতো মে খলিহানো মে’। এই ‘জনতা জনার্দনে’র রায়ের দিকেই তাকিয়ে এখন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। ‘সময়ের রথের ঘর্ঘর ধ্বনি’ কী বার্তা দিচ্ছে, তা জানা যাবে ভোট বাক্স খুললে।