পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
গৌতম বুদ্ধ নগর লোকসভার মধ্যে পড়ছে দাদরির এই গ্রাম। আজ সেখানে ভোটগ্রহণ হবে। দিল্লি থেকে প্রায় ৬০ কিমি দূরের রাজপুত প্রভাবিত এলাকাটি নামেই জাতীয় রাজধানী অঞ্চল বা এনসিআর। নয়ডার ঝাঁ চকচকে অট্টালিকা-ফ্লাইওভার উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও এখানে এসে পৌঁছয়নি। গত ১০ বছর ধরেই এখানকার সাংসদ বিজেপির মহেশ শর্মা। এবারও তাঁকে প্রার্থী করে প্রচারে সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে করছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু একবারের জন্যও আখলাকের নাম নেওয়া হচ্ছে না। কারণ, মহেশের হ্যাটট্রিক রুখতে একজোট হয়েছে বিসাদা। মিছিলও করেছেন। গ্রামের মুদিখানার দোকানি ব্রজেশ সিশোদিয়া জানাচ্ছেন, ‘নামেই আমরা এনসিআরের বাসিন্দা, কিন্তু উন্নয়ন এখান থেকে ৫০ কিমি দূরেই থেমে গিয়েছে। এমপি মহেশ শর্মা গত ১০ বছরে আমাদের জন্য কিচ্ছু করেননি। এবার এই গ্রাম থেকে কেউ বিজেপিকে ভোট দেবে না।’
গতবার তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে জেতা বিজেপি প্রার্থীর হয়তো তাতে কিছু যাবে আসবে না। কিন্তু এই প্রতিবাদটা জরুরি বলে মনে করছেন আর এক স্থানীয় বাসিন্দা রাজিন্দর সিং। অসুস্থতার জন্য আর চাষের কাজে আর শরীর দেয় না তাঁর। অশক্ত শরীরেও জানান, গ্রামে ঢোকার রাস্তাটা দেখেছেন? গত পাঁচ বছরে কিচ্ছু হয়নি। গ্রামের মোড়ে দাঁড়ানো অখিল রানা জানালেন, ‘আমরা মোদি আর বিজেপির সমর্থক। কিন্তু ওরা আমাদের কথা ভাবে না। তাই গোটা গ্রাম এবার বিএসপি প্রার্থী রাজেন্দ্র সিং সোলাঙ্কিকে সমর্থন করবে।’ তার পিছনেও অবশ্য রাজপুত অঙ্কই দেখছে রাজনৈতিক মহল।