বিকানির: ‘বেশ করেছি, বলেছি। প্রয়োজনে আবারও বলব।’ রাজস্থানে ভোটের প্রচারে তাঁর ভাষণ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার জবাব এভাবেই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোটে মেরুকরণের রাজনীতি উস্কে দিতেই মোদি ওই বিদ্বেষ ভাষণ দিয়েছিলেন বলে দাবি বিরোধীদের। এবার মোদির বক্তব্যের প্রতিবাদ করে পদ খোয়ালেন বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা। রবিবার রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ‘বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে আপনাদের সম্পদ মুসলিম, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে। শহুরে নকশালরা মা-বোনদের মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত ছাড়বে না।’ এই মন্তব্যের সমালোচনা করেন বিজেপির বিকানির জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি উসমান ঘানি। এরপরই তাঁকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হতেই সরব বিরোধী দলগুলি। তাদের প্রশ্ন, দলের অন্দরেই কি মোদির বক্তব্য নিয়ে দ্বিমত রয়েছে? তবে কি মেরুকরণের রাজনীতির জন্য দলের নেতাদেরও রেয়াত করতে রাজি নন মোদি?
দিল্লিতে একটি হিন্দি নিউজ চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ঘানি। সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভারতের মুসলিম সমাজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই ধরণের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বরং দেশের উন্নয়নের দিকেই নজর দেওয়া হোক। এই নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।’ ঘানি জানান, প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর তিনি যখন মুসলিমদের কাছে বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে যাচ্ছেন, তখন এই নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।