কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত ছিলেন কাছাড়ের বরাইবস্তির বৃদ্ধ চন্দ্রধর দাস। ছেলে গৌরাঙ্গ আর মেয়ে নিয়তির কথায়, মোদিজিকে চন্দ্রধরবাবু ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করতেন। নিয়মিত শুনতেন ‘মন কি বাত’। রেডিওতে মোদিজির গলা শুনে প্রণাম করতেন বাবা। বলতেন, এঁনার জন্যই খেয়েপরে বেঁচে আছি। আমার পরিবারের ৩০টা ভোট সব পদ্মেই যাবে। এরকম একজন অন্ধ ভক্ত শতায়ুর বৃদ্ধকে অনুপ্রবেশকারী ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অথচ ছয়ের দশকে বাংলাদেশ থেকে এসে ত্রিপুরার উদ্বাস্তু ক্যাম্পে রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। সেই সার্টিফিকেট বাবা হারিয়ে ফেলেছিলেন। গৌরাঙ্গের কথায়, আইনি লড়াই পর্বে ত্রিপুরা থেকে সেই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। কিন্তু বিদেশি তকমা গায়ে লাগিয়েই ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ১০৪ বছর বয়সে বাবা যখন মারা গেলেন, তখনও এসে পৌঁছয়নি সার্টিফিকেট। অবশেষে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মিলেছে সেই শংসাপত্র। জমা দিয়েছি ট্রাইব্যুনালে। বাবা যে প্রকৃতই ভারতীয় ছিলেন, এখন কারা ঘোষণা করবে? বাঙালি ভোটটা জরুরি, তাই নির্বাচনের সময় ছিল নিত্যদিনের আনাগোনা। আর এখন! বিজেপি নেতারা তো চুপচাপ, কারও দেখা নেই।
স্বদেশি না বিদেশি, এনআরসির গেরোতে ভুক্তভোগী বাঙালিদের লড়াইতে ‘রসদ’ জোগাচ্ছেন শিলচরের কমল চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, এটা কোনও আইনি জটিলতা নয়। স্রেফ বাঙালিদের প্রতি আগ্রাসন। বঙ্গভাষী মানেই বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশকারী, এই তকমা সেঁটে ভারত থেকে বিতাড়নের মরিয়া চেষ্টা। নির্বাচনের মুখে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছাপিয়ে এখন এই আগ্রাসন বরাক উপত্যকায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিজেপি এবার প্রচার করছে, ‘খিলঞ্জিয়া’ মানে ভূমিপুত্র, ভূমিপুত্রের অগ্রাধিকার। কমলবাবুর অভিযোগ, প্রতিবাদী বাঙালিরা যাতে মুখ বুজে থাকে, তাই ভীতি প্রদর্শন। অনুপ্রবেশকারী সাজানোর চেষ্টা। বরাক উপত্যকার খিলঞ্জিয়া তো বাঙালিরাই। তাঁরাই তো বঞ্চিত এখানে। আসলে বিজেপি যে বাঙালি বিদ্বেষী, ক্রমেই তা প্রকাশ পাচ্ছে।