রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পাঞ্জাবে কুস্তি হলেও দিল্লিতে আপের দিকে দোস্তির হাত বাড়িয়েছে কংগ্রেস। রাজধানীতে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট ভাগাভাগি আটকানোই এর মূল্য লক্ষ্য। সাতটির মধ্যে কেজরিওয়ালের আপ লড়ছে চারটি আসনে। তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের মতো ২০২৪ সালেও রাজধানীর সাত আসন ফের নিজেদের ঝুলিতে ভরতে মরিয়া বিজেপি। দুই শিবিরই হাই-প্রোফাইল প্রার্থী দিয়েছে। চব্বিশের এই ‘মহারণে’র আগে আত্মবিশ্বাসের সুর দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবের কণ্ঠে,‘আমাদের টার্গেট জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ানো। এজন্য আসন ধরে ধরে রণকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।’ তবে বিজেপির হ্যাটট্রিকের স্বপ্নে জল ঢালতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরও।
উত্তর-পূর্ব দিল্লি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মুসলিম ও পূর্বাঞ্চলীয় ভোটার। শাসক ও বিরোধী, দুই শিবিরের প্রার্থীরই আদি বাড়ি বিহারে। এই আসনে বিজেপি এবারও প্রার্থী করেছে তাদের দু’বারের সাংসদ মনোজ তিওয়ারিকে। এখানে কংগ্রেস টিকিট দিয়েছে জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে। সিপিআই থেকে জার্সি বদলে তিনি কংগ্রেসে এসেছিলেন। ছাত্রনেতা হিসেবে দিল্লিতে কানহাইয়া কুমারের পরিচিতি এবং ভালো বক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতিকে এবার কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির এক বিজেপি নেতার দাবি, বামপন্থী হিসেবে কানহাইয়ার অতীত পরিচিতই তাঁর কাল হবে। এবারও এই আসনে এগিয়ে থাকছেন মনোজ তিওয়ারি।
পূর্ব দিল্লি আসনটি সংরক্ষিত না হওয়া সত্ত্বেও এখানে আপ প্রার্থী করেছে তাদের দলিত বিধায়ক কুলদীপ কুমারকে। কেজরিয়ালের দলের অনুমান, এর সুফল মিলবে দিল্লিতে ছড়িয়ে থাকা ১২টি সংরক্ষিত বিধানসভা অঞ্চলে। তাদের আরও দাবি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ফলে মোদি বিরোধী ভোট এবার আর ভাগ হচ্ছে না। ২০১৯ সালে পূর্ব দিল্লি আসনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের অরবিন্দ সিং লাভলিকে তিনি ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিলেন আপ নেত্রী আতিশী। ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের দাবি, এবার আর ভোট ভাগাভাগির সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে না বিজেপি। ভোটের অঙ্কের পাশাপাশি প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জাতপাতের সমীকরণও মাথায় রেখেছে গেরুয়া শিবির। আর সেই সূত্রেই পাঞ্জাবি, বণিক, গুজ্জর, জাঠ, দলিত সব শ্রেণি থেকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। দু’টি আসনে দিয়েছে মহিলা প্রার্থীও (কমলজিৎ সেরাওয়াত ও বাঁশুরী স্বরাজ)। উল্টো দিকে, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি থেকে সহানুভূতির হাওয়া তুলতে মরিয়া আপ। তাদের প্রচারেও ঘুরেফিরে আসছে আপ সুপ্রিমোর গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গ। দিল্লিবাসীর কাছে তাদের আর্জি, ‘জেল কা জবাব ভোট সে’। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারী আপের মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, দিল্লির বাইরের পরিস্থিতি কোন দিকে বলতে পারব না। কিন্তু দিল্লি সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, আপ ও কেজরিওয়ালের জন্য সহানুভূতির হাওয়া বইছে। এমনকী বিজেপির সমর্থকদেরও বলতে শুনেছি, এতটা বাড়াবাড়ি না করলেই পারত।