কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২০০৯ সাল থেকে ধুবুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল। তাঁর দল এআইইউডিএফের নির্বাচনী প্রতীক ‘তালা’। বিজেপি অনেক চেষ্টা করেও এখানে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। এলাকায় একটু ঘুরতেই বোঝা গেল ‘তালা’র প্রভাব। গোয়ালপাড়ার একটি পাতকুয়োর কংক্রিটের বেষ্টনীর গায়ে বড় হরফে লেখা এআইইউডিএফ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বড় অংশের মানুষের বসবাস এখানে। সরকারি জমিতে বাড়ি বানানোর অভিযোগে তা ভেঙে দেওয়ার নির্দশনও দেখা গেল গোয়ালপাড়ায়। বদরুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিজেপির সমর্থনে এখানে লড়ছেন অসম গণ পরিষদের জাভেদ ইসলাম। গেরুয়া শিবির এই আসন নিয়ে যে বেশ কিছুটা চাপে রয়েছে, তার প্রমাণ মিলছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রচারেও। সম্প্রতি তিনি কার্যত ব্যক্তি আক্রমণ করে বদরুদ্দিন আজমলকে উদ্দেশে বলেছেন, ‘পারলে এখনই দু’-তিনটে বিয়ে করে নিন। ভোটের পর আর পারবেন না।’ এই আক্রমণ আসলে ধুবুড়ি কেন্দ্রে বিজেপির চাপে থাকার লক্ষণ বলেই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।
সূত্রের খবর, বদরুদ্দিন আজমলের এই আসনটি ছাড়াও বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট অনুযায়ীই তারা কিছুটা চিন্তায় রয়েছে করিমগঞ্জ এবং নওগাঁও লোকসভা নিয়ে। নওগাঁওতে ২০১৯ সালে কংগ্রেস জিতেছিল। এবারও বিদায়ী সাংসদ প্রদ্যুৎ বরদলুইকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। এই আসনে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন সুরেশ বোরা। করিমগঞ্জ লোকসভা আসন নিয়েও বিজেপি চিন্তিত। কারণ, এই আসনে কৃপানাথ মোল্লা ২০১৯ সালে জিতেছিলেন মাত্র ৩৮ হাজার ভোটে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই অঞ্চলে এআইইউডিএফের সংগঠনও মজবুত।
বরপেটা আসনে ২০১৯ সালে জিতেছিলেন কংগ্রেসের আব্দুল খালেক। বিজেপির সহযোগী অসম গণ পরিষদের প্রার্থী ফণীভূষণ চৌধুরী এবার কংগ্রেসকে বেগ দেওয়ার জন্য তৈরি। বঙ্গাইগাঁওয়ের চাপগুড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী অজিত দেবের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘এই শহরে এত সংখ্যায় জয় শ্রীরাম লেখা পতাকাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভোটে কী হতে যাচ্ছে।’ অসমের আর একটি আসন নিয়েও বেশ চর্চা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ঘেঁসা সেই কেন্দ্র হল কোকড়াঝোড়। নির্দল প্রার্থী নবকুমার সারানিয়া এখান থেকে পরপর দু’বার নির্বাচিত হয়েছেন। বিজেপির সমর্থনে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারাল থেকে প্রার্থী হয়েছেন জয়ন্ত বসু মাতারি। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থীর লড়াই জমে উঠেছে। উল্লেখ্য, এবার অসমে চারটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তারমধ্যে শিলচর আসনটি তৃণমূলের বিশেষ নজরে রয়েছে। সেখানে জোড়াফুল ফোটে কি না, জানা যাবে ৪ জুন।