নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুরী থেকে হলদিয়া ফেরার পথে ওড়িশায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বাস। ঘটনাটি ঘটে এখানকার জাজপুরে গতকাল, সোমবার রাতে। পুরী থেকে হলদিয়াতে আসার সময় জাজপুরে বরাবতী ব্রিজের উপর থেকে নীচে পড়ে যায় বাসটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির নাম কালীয়ননা(OD/02 DJ8599)। এটি হলদিয়া-পুরী রুটের বাস। গত পরশু, রবিবার বিকেলে বাসটি ছেড়েছিল পুরীর উদ্দেশে। বাসের মালিকের নাম সুবোধ ভুঁইয়া। তিনি ওড়িশার জলেশ্বর জেলার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে খবর, রাস্তার মাঝে আচমকাই স্টিয়ারিং কেটে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভার থেকে পড়ে যায় বাসটি। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। যাঁদের মধ্যে চারজনই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন, উত্তম মাইতি (পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের বাসিন্দা), অচিন্ত্য মাইতি (পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা), বর্ণালি বেড়া দাস (নন্দীগ্রামের পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা) ও মনোজ ঘোষ (পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পঞ্চম ব্যক্তিও সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা। পাশাপাশি জখম হয়েছেন আরও ৩২ জন। তবে তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকি ২০ জনের আঘাত সামান্যই। তাঁদের আজ, মঙ্গলবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর তাঁদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার বিষয়ে ওড়িশার মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব। এমনকী নবান্নের তরফে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুমও। নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে গতকাল রাত থেকেই টানা যোগাযোগ রাখছেন মমতা। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মৃতদের পরিবার ও জখমদের আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি হলদিয়া-পুরী রুটের।
ওড়িশার ধর্মশালা থানার আইসি তপন কুমার নায়েক জানিয়েছেন, ‘১৬টি অ্যাম্বুলেন্সে করে জখমদের কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে, র্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা গতকাল ঘোষণা করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।