রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জয়পুরের বাসিন্দা মনোজবাবু এক সময় বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। দলের ওবিসি মোর্চার জেলা সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি সামলেছেন। প্রতিবাদী হিসেবে তাঁর পরিচয় রয়েছে। দলের এমপি এবং জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনিই পুরুলিয়ার বিজেপি প্রার্থীকে পরিবর্তনের দাবিতে সরব হয়েছেন।
মনোজবাবু বলেন, ‘পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাত অহংকারী। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্যই আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে যে কথা বলবে তাঁকেই পদ থেকে সরিয়ে দেবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে উনি ভালো করে কথা বলেন না। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করেন না।
বিজেপির অধিকাংশ এমএলএ প্রার্থী হিসেবে তাঁকে চাইছিলেন না। তিনি এনডিএ জোট সঙ্গী আজসু কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেন না। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে জিততে হলে অন্য কাউকে প্রার্থী করতে হবে। তাই এবিষয়ে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি পাঠিয়েছি।’
এনিয়ে বিজেপির পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, গোটাটাই তৃণমূলের চক্রান্ত। তৃণমূল কংগ্রেস এসব করাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কে রয়েছে। তাই ভুলভাল কথা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সার্ভেতে স্পষ্ট হয়েছে পুরুলিয়ায় কে জিতছে। তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলগুলি পুরুলিয়ায় দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াই করছে। আগেরবার ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলাম। এবার আরও পাঁচ শতাংশ ভোট বাড়বে। তিন লক্ষের বেশি ভোটে এবার জয়ী হব।
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত বলেন, এটা অন্য দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। বিজেপি প্রার্থীকে গত পাঁচ বছর ধরে যে এলাকায় পাওয়া যায়নি, সেটা সবাই জানে। মানুষ ভোটেই সব জবাব দিয়ে দেবে।