পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে মোদি যেভাবে ওই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করেন, তাতে বেজায় অসন্তুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে নিজেদের জমিতে সার্কিট বেঞ্চ তৈরি করে রাজ্য সরকার। চার মাস আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তি না করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। হঠাৎ তড়িঘড়ি রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সার্কিট বেঞ্চ-এর উদ্বোধন করতে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ আসার আগে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি থেকে নবান্নের শীর্ষকর্তারা তা জানতে পারেন। এই কাজ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রকের সচিবকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানান রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য।
অবশ্য দমে যাওয়ার পাত্রী নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে তিনি কোনও ভয় বা হুমকির কাছে আত্মসমর্পণ করেননি। প্রয়োজনে একা লড়তেও কখনও পিছপা হননি। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের এই চালাকি বা ভোটের আগে নাম কেনার চেষ্টাকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর। সেই কারণে জলপাইগুড়িতে যে ভাষায় তাঁকে নরেন্দ্র মোদি আক্রমণ করেন, তাঁর মিনিট কুড়ির মধ্যেই পাল্টা জবাব দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি মমতা। তাঁর মতে, যেখানে বিচারপতির প্যানেল, অফিসার, কর্মচারীদের নিয়োগ এবং তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ এখনও হয়নি, সেখানে তড়িঘড়ি উদ্বোধন কেন? কলকাতা হাইকোর্ট ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করা যেত। উদ্বোধনের সময় কলকাতা হাইকোর্টের কোনও প্রতিনিধি ছিল কি?
তাই এবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিল হাইকোর্ট। এই কথা চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে জানিয়ে দিলেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।