শ্লেষ্মাদি ও বাতজ রোগে দেহকষ্ট হতে পারে। কাজকর্মে বাধার মধ্যে অগ্রগতি। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
হাওড়ায় আর দু’সপ্তাহ বাদেই ভোট। এই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করাই চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও, তাদের রাজ্য পুলিসই নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু যে পুলিস পঞ্চায়েতের মতো গুরুত্বপূর্ণ অফিসে গুলিচালনার পাঁচদিন পরও মূল অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে পারে না, তাদের উপর আস্থা রাখবে কী করে সাধারণ মানুষ। ঘটনার দিন তিন দুষ্কৃতী প্রকাশ্য দিবালোকে প্রধানের ঘরে ঢুকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে চম্পট দেয়। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, সরকারি অফিসের ভিতরে শ্যুট আউটের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। এমন ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল পুলিসের। কিন্তু পুলিসের তরফে তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ওই ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং আরও এক নেতা গ্রেপ্তার হলেও যারা গুলি চালিয়েছিল, তারা কোথায়?
শুধু সাধারণ মানুষ নয়, একই প্রশ্ন তুলে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন ধৃত অঞ্চল সভাপতি ভোলানাথ চক্রবর্তীর স্ত্রী টুম্পা চক্রবর্তীও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তৃণমূলের সমর্থক। কিন্তু এই ঘটনা আমাকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী কাজ দেখেই মানুষ তৃণমূলকে হয়তো ভোট দেবেন, কিন্তু এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে ভোটের আগে বাঁকড়ার মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় রয়েছেন। আরেক বাসিন্দা বলেন, অন্য সময়ে না হলেও অন্তত নির্বাচনের সময়ে পুলিস আরও সক্রিয় হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু সেই আশা যে বৃথা, তা বেশ বুঝতে পারছি।
এ নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেন, আমরা অভিযুক্ত তিনজনকে এখনও হয়তো গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে তদন্ত এগচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত তদন্তের কিনারা হবে।