পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
এদিন সৃজনের প্রচার শুরু হয় বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার সাউথ গড়িয়া পঞ্চায়েতের ওড়ঞ্চ স্কুলমাঠ থেকে। হেঁটে জনসংযোগে নামেন সৃজন। কিছু দূর যেতেই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁরা বলেন, ‘গরমে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। জল আনতে কয়েক কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। আমাদের সমস্যা কেই দেখছে না।’ সিপিএম প্রার্থী সব শুনে তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমাদের জেতান। সাংসদ হয়ে আপনাদের পাশে থেকে এই সমস্যাগুলি প্রথমেই দেখব।’ এরপর সৃজন যান কাটাখাল বাজারে। সেখানে তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তারপর টোটোয় চেপে মলঙ্গা, ঘোষপুর হয়ে পঞ্চায়েতের কাছে শেষ হয় প্রচার। এই ফাঁকে দলের এক মহিলা কর্মীর বাড়িতে খাওয়াদাওয়া সারেন সৃজন। তিনি বলেন, ‘পানীয় জল, রাস্তা, আলো নিয়ে জর্জরিত মানুষ। রুটি-রুজির সমস্যার সমাধান করাই আমাদের কাজ। কিন্তু তৃণমূল এখন প্যাঁচে পড়ে বলছে এটা রুটি-রুজির ভোট নয়, লোকসভার ভোট।’ বিকেলে তিনি কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দুয়া মোড় থেকে জনসংযোগ করেন।
এদিন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা আসনের বনহুগলি ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন সায়নী। গাড়িতে যাওয়ার সময় কিছু মহিলা তাঁর গাড়ি থামিয়ে গান শোনানোর আবদার করেন। তাতে বিরক্ত না হয়ে ‘মনের মানুষ’ গান গেয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি।
প্রচারে স্থানীয় মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এদিন টোটোয় চেপে কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের চন্দনপুকুর এলাকায় প্রচার সারেন। মাঝেমধ্যেই তিনি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গ্রামবাসীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রচার-পথে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে সাংসদকে পাওয়া যায় না জেতার পর। আপনাকে পাব তো?’ অনির্বাণবাবু মুচকি হেসে তাঁর হাত ধরে আশ্বস্ত করেন। সন্ধ্যায় তিনি যাদবপুর ও টালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় একাধিক পথসভায় অংশ নেন।