রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে আচার্যের মনোনীত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শান্তা দত্তের পরিচালনায়। এই পদের ক্ষমতা কতদূর, তা নিয়ে রাজভবন এবং বিকাশ ভবনের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। তার মধ্যে এই নিয়োগ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, সবাইকে অন্ধকারে রেখে এভাবে নিয়োগ করা বেআইনি। স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক, যেমনই নিয়োগ হোক, তা বিশ্ববিদ্যালয় গোপনে করতে পারে না। আগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ হলেও তার জন্য টেন্ডার ডাকা হতো। এখন সেই পরিস্থিতি না থাকলে বর্তমান কর্মীদের মধ্যে সবাইকেই যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হোক। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় যা করেছে, তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের আওতাতেই পড়ে।
এ নিয়ে শান্তাদেবী বলেন, এখানে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির চল ছিল বছরের পর বছর। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সমস্ত আর্থিক সুযোগ-সুবিধাই পেতেন। তা বহন করতে হতো বিশ্ববিদ্যালয়কে। সেই ব্যয়ভার কমানোর জন্যই দৈনিক মজুরির বিষয়টি চালু করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ শর্ট-সিন্ডিকেট করে তা পাশ করা হয়। এতে আর্থিক চাপ কমেছে। তিনি জানান, যে বিভাগে কর্মী নেওয়া হচ্ছে, সেখানকার বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশক্রমেই বাছাই করা হচ্ছে। তাহলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সবাইকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না কেন? এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের বক্তব্য, এটা সেই অর্থে নিয়োগ নয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারে, তারই ভিন্ন ব্যবস্থা। এ ধরনের অভিযোগ তুলে গল্পের গোরু গাছে তোলা হচ্ছে। যদিও, শুভেন্দুবাবুদের অভিযোগ, প্রচুর শিক্ষিত-বেকার ছেলেমেয়ে রয়েছেন, যাঁরা নতুন উদ্যমে কাজ করতে পারেন। অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্বহালের সময় স্বজনপোষণেই জোর দেওয়া হচ্ছে।