বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন চন্দননগরে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় একটি হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি বলেন, রাম বিজেপির নিজস্ব সম্পদ নয়। আমাদের ভারত লক্ষ লক্ষ ভগবানের দেশ। সকলেই আমি প্রণাম জানাই। তবে কাউকে নিয়েই রাজনীতি করতে চাই না। এদিন চন্দননগর ভদ্রেশ্বরে দাপিয়ে প্রচার করেন রচনাদেবী। রাতে রামনবমীকে সামনে রেখে বাঁশবেড়িয়ায় এক বিরাট গঙ্গা আরতি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এদিন ধনেখালিতেও রামনবমীকে সামনে রেখে বিরাট মিছিল করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে, এদিন রিষড়া, চুঁচুড়া সহ একাধিক জায়গায় রামনবমীর মিছিল করেছে বিজেপি ও একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। চুঁচুড়ার মিছিলে অস্ত্রও ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, রিষড়ার মিছিলকে কেন্দ্র করে যেমন পুলিসি নিরাপত্তা বলয় ছিল, তেমনই ছিল উত্তেজনার আবহ। সেখানকার মিছিলে অংশ নিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু। তবে শেষ পর্যন্ত ড্রোন ও একাধিক ক্যামেরার নজরদারিতে রিষড়ার মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কবীরবাবু এদিন ডোমজুড় থেকে শ্রীরামপুর, জাঙ্গিপাড়া থেকে রিষড়া– সর্বত্র রামনবমীর মিছিলে অংশ নিয়েই প্রচার সেরেছেন। তিনি এদিন জানিয়েছেন, লোকসভায় জেতার পরে শ্রীরামপুরে রামভূমি গড়ে তোলা হবে।
হুগলি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও এদিন একাধিক রামনবমীর মিছিলে অংশ নিয়ে প্রচার সারেন। এদিন সকালে বলাগড়ের মিছিল থেকে তাঁর কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ধনেখালির মাঝিনান ও পাণ্ডুয়াতেও রামনবমীর মিছিলে তিনি ছিলেন। এদিন চাঁপদানির একাধিক রামমন্দিরে পুজো দিয়েছেন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনে চাঁপদানিতে প্রচারের পাশাপাশি রাতে তিনি শ্রীরামপুরে প্রচার করেন। সেখানেও একাধিক রাম ও হনুমান মন্দিরে তাঁকে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে। শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর এদিন ডোমজুড়ে প্রচার করেছেন। আর হুগলির সিপিএম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ এদিন ধনেখালিতে প্রচার করেছেন।