ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দত্তাবাদ এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে জমা জল সহ একাধিক বিষয়কে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ড্রোনের তোলা সেই ছবি ইতিমধ্যে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, বালির মাঠের সামনে একটি দোকান এবং সবুজ সংঘ ক্লাবের উল্টোদিকে একটি ঘর নিকাশি নালার উপর তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে দত্তাবাদের একটা বিস্তীর্ণ অংশে নিকাশি ব্যবস্থা পুরো বেহাল হয়ে পড়েছে। তাতে বহু জায়গায় জল জমছে। আর সেখানেই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নির্মলবাবু বলেন, এই দুই এলাকা সংলগ্ন জায়গায় প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি বাসিন্দার বাস। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গুর প্রকোপ একবার মাথাচাড়া দিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। তাই এবিষয়ে পুরসভাকে জানানো হয়েছিল। যার দোকান রয়েছে, তার দত্তাবাদে ভাড়ার প্রায় ২৫০ ঘর এবং যার বাড়ি রয়েছে, তার প্রায় ১৫-২০টি ভাড়া ঘর রয়েছে। ২০১৭ সালেই ওই দোকান এবং ঘরকে পুরসভা থেকে নোটিস দিয়ে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। এর ফলে ভুক্তোভূগী হতে হচ্ছে, গোটা দত্তাবাদ সহ সংলগ্ন সল্টলেকের ব্লকগুলিকে।
সোমবার মাসিক অধিবেশনেও এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পুরসভা থেকে সম্প্রতি দত্তাবাদের অন্তত ২৫টি নিকাশি নালাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করতে পারলেও, ওই দুটি জায়গায় এখনও কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। পুরসভা থেকে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে, এয়ারপোর্ট লাগোয়া এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে ড্রোন ওড়ানো নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। সেবিষয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) সঙ্গে কথা হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে। এদিকে, পুজোর মরশুমে ডেঙ্গু নিয়ে লাগাতার প্রচারের জন্য প্রায় দু’ লক্ষ টাকা (ওয়ার্ড পিছু প্রায় পাঁচ হাজার টাকা) বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে বলে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।